জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ একটি শক্তিশালী ও দূরদর্শী রূপরেখা, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গৃহীত একটি কৌশলগত জাতীয় লক্ষ্য। এটি ভারতের ঐতিহ্যগত মর্যাদাকে ফিরিয়ে এনে বিশ্বগুরু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ সকালে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবি অডিটোরিয়ামে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন করে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডি নান্নু একথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ ব্যক্তির সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণীত হয়েছে যার মূল লক্ষ্য ভারতীয় মূল্যবোধের উপর একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা। শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার বাজারে যাতে নিজেদের সেরা তুলে ধরতে পারেন সেদিকেও জাতীয় শিক্ষানীতি নজর দিয়েছে। তিনি বলেন, এই নীতি নমনীয় ও বহুমুখী যা ভারতীয় ভাষা ও জ্ঞান ব্যবস্থাকে গভীরভাবে উৎসাহিত করবে এবং ঐতিহ্যগত জ্ঞানকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির সঙ্গে একত্রীভূত করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কিশোর বর্মণ বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ একটি যুগান্তকারী শিক্ষানীতি, যা শিক্ষার্থীদের দারুণভাবে কাজে আসবে। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেবরাজ পানিগ্রাহী। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শ্যামল দাস, বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় (লখনৌ) এর শিক্ষা বিভাগের ডিন অধ্যাপক রাজশরন শাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।