ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করা এবং সাংস্কৃতিক আদান প্রদানকে উৎসাহিত করা এই সময়ের বিশেষ দাবি। পৃথিবী এখন এমন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যেখানে প্রায়শই সংকীর্ণ সীমানা দিয়ে বিভাজনের রেখা দেখা যাচ্ছে। সেই জায়গায় তরুণ স্কাউটস এবং গাইডরা এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের এক পৃথিবী গড়ে তুলছে। যেখানে বহুত্বের মধ্যে ঐক্য শুধু একটি শ্লোগান নয় বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা। গতকাল সন্ধ্যায় আরবান হাট পূর্বাশায় অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংহতি শিবিরের গ্র্যান্ড ক্যাম্পফায়ার, সমাপনী অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেডি নান্নু একথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় সংহতি শিবির ২০২৫ শুধু একটি ইভেন্ট নয়, এটি এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের চেতনার এক শক্তিশালী প্রকাশ যা, আমাদের মহান জাতিকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে। তিনি বলেন, এই শিবিরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলি আমাদের জাতি গঠনের প্রক্রিয়ার মূল্যবোধের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। এই শিবির সমগ্র ভারত এবং তার বাইরে থেকে আসা স্কাউটস ও গাইডদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, আজীবন স্থায়ী বন্ধুত্ব করে তোলা এবং তাদের মধ্যে জাতীয় সংহিত ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির সত্যিকারের চেতনাকে গ্রহণ করার এক অনন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। কারণ তারাই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ পৃথিবীর ভবিষ্যতের স্থপতি।
বিশেষ অতিথির ভাষণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় স্কাউটস এবং গাইডদের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন। ভারত স্কাউটস এন্ড গাইড-র প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. কে কে খান্ডেয়াল জাতি গঠনে ভারত স্কাউটস এন্ড গাইড-র অবদান ও ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন ভারত স্কাউটস এন্ড গাইড-র এক্সিকিউটিভডিরেক্টর অমর বি ছেত্রি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল ডার্লং। শিবিরে স্কাউটস এবং গাইডরা জাতীয় সংহতির উপর নৃত্য পরিবেশন করেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা স্কাউটস ও গাইডরা এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এবং ত্রিপুরা ভারত স্কাউটস ও গাইড এই শিবিরের আয়োজন করেছিল। রাজ্যপাল বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জয়ী স্কাউটস ও গাইড শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।