এ বছরও বিভিন্ন ক্লাব এবং পুজো সংস্থাগুলিকে শারদ সম্মাননা প্রদান করবে আগরতলা পৌরনিগম। দুটি ক্যাটাগরিতে এই সারদ সম্মান প্রদান করা হবে। শহরের প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য দশমী ঘাট সহ আরো বারোটি দশমী ঘাট ব্যবহার করা হবে ।এদিন আগরতলা পৌর নিগমের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার।
বিগত দুই বছরের মত এবারো আগরতলা পৌর নিগমের অধীন বিভিন্ন পূজা উদ্যোক্তাদের শারদ সম্মাননা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আগরতলা পৌরনিগম ।মঙ্গলবার নিগমের কনফারেন্স হলে আয়োজিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার ,ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত ,এমআইসি সদস্য সদস্যাগন সহ আগরতলা পৌরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্পোরেটর গন। এদিন বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার। তিনি জানান ,গত দুই বছরের মতো এবারো আগরতলা পৌর নিগম এলাকার বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের শারদ সম্মাননা প্রদান করা হবে ।তুই ক্যাটাগরিতে হবে এই সম্মাননা প্রদান ।নিগমের চারটি জোনাল এলাকায় জোনাল ভিত্তিক সম্মাননা প্রদান করা হবে ।মূলত মঞ্চ, আলোকসজ্জা ,থিম ,প্রতিমা এবং মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত পূজা উদ্যোক্তাদের এই সম্মাননা প্রদান করা হবে ।এই ক্ষেত্রে নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের ২৫ হাজার টাকা এবং একটি সুদৃশ্য কাপ প্রদান করা হবে। মেয়র আরো জানান , জোনাল ভিত্তিক ছাড়াও গোটা আগরতলা নিয়ে আরো একটি শারদ সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।এই ক্ষেত্রে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত পুজো উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকার চেক এবং সুদৃশ্য কাপ প্রদান করা হবে। মেয়র জানান ,প্রতিটি ক্ষেত্রেই আগরতলা পৌর নিগম নির্ধারিত নীতিমালা অনুসারে যারা পূজার আয়োজন করবেন তাদেরকেই বিচারকদের সিদ্ধান্তমতে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
এদিন মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার আরো জানান, এবছর 2 অক্টোবর দশমীর তিথি পড়েছে। ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে মায়ের গমন অনুষ্ঠান ।দুই থেকে চার অক্টোবর পর্যন্ত আগরতলা পৌর নিগম এলাকার মোট তেরোটি দশমি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন এর ব্যবস্থা করা হবে ।এর মধ্যে মূল নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হবে রাজধানীর দশমী ঘাটে। এখানে চারটি হাইড্রোলিক ক্রেন ব্যবহার করা হবে। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য অতিরিক্ত ১০০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হবে। মেয়র জানান, গত বছর আগরতলা শহরে মোট ৬০৮ টি পুজো হয় ।এর মধ্যে ৩৩৪ টি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন হয় রাজধানীর দশমি ঘাটে।
মেয়র আরো জানান ,পুজোর দিনগুলিতে রাজধানীতে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের সমাগম হয়। দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পুজো দেখতে পারেন তার জন্য রাস্তাঘাট সংস্কার ,ড্রেন সংস্কার ,নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার সহ আলোকসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে ।অতি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কাজগুলি শেষ হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার।