জেলা এবং মহকুমা স্তরেও ফিজিওথেরাপিস্টদের সংগঠন গড়ে উঠুক ।এতে জনগণের সুবিধা হবে ।বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে সোমবার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিওথেরাপিস্ট এর রাজ্য শাখার অনুষ্ঠানে বললেন ক্রীড়া ,যুব কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার ,সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা ডা: সুজিত রায় সহ অন্যান্যরা।
সোমবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস ।এই উপলক্ষে রাজ্যেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগরতলা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিওথেরাপিস্ট এর ত্রিপুরা রাজ্য শাখা ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ,যুব কল্যাণ ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার ,সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা ডা সুজিত রায় সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, রাজ্যে এখন পর্যন্ত চল্লিশ হাজারেরও অধিক দিব্যাঙ্গজনদের সরকারি স্বীকৃতি পত্র বা ইউআইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে সব মিলিয়ে ৭০ হাজারের মতো দিব্যাঙ্গ জন রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ফিজিওথেরাপিস্টদের সংগঠনগুলিকে জেলা এবং মহকুমা স্তরে ছড়িয়ে পড়া উচিত। কারণ একসময় খেলাধুলা রাজধানী আগরতলা কেন্দ্রিক ছিল। বর্তমানে বিজেপি শাসিত সরকার খেলাধুলাকে জেলা এবং মহকুমাতে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নিয়েছে। জেলা এবং মহকুমা গলিতেও ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে ।এই প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, রাজ্যে এখন ১৩ খানা সিন্থেটিক ফুটবল গ্রাউন্ড রয়েছে। এর মধ্যে আগরতলাতে কেবলমাত্র একটি সিনথেটিক মাঠ রয়েছে ।বাকি ১২টি মাঠ বিভিন্ন জেলা এবং মহকুমায় ছড়িয়ে রয়েছে ।তাই জেলা এবং মহকুমা গলিতে ফিজিওথেরাপিস্টদের সংগঠন থাকলে সেখানকার জনগণ উপকৃত হবেন বলে মনে করেন মন্ত্রী টিংকু রায়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাল্যবিবাহ রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দিব্যাঙ্গজন দের মধ্যে হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।