অন্যান্য সমস্যা সহ মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বিভেদ পার্থক্য দূরীকরণের প্রয়াস তিনি নেবেনই বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার রাজধানীর নজরুল কলা ক্ষেত্রে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের তৃতীয় ত্রৈবার্ষিক সম্মেলনে বললেন মুখ্যমন্ত্রী ।মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান ,সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা জারি রয়েছে।
অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহা সংঘর তৃতীয় ত্রৈবার্ষিক রাজ্য সম্মেলন রবিবার নজরুল কলা ক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হয় ।এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন লোকসভার সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষ ক কর্মচারীদের এডহক ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে পদোন্নতি অ্যাডহক থেকে উঠিয়ে অন্য কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মাথায় রেখেই সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চিন্তা করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,সরকার কি করছে বা কি করছে না তা কাজের মাধ্যমে পরিষ্কার হচ্ছে এবং হবে। আশ্বাস দিয়ে যদি কিছু করা না হয় তবে সেই আশ্বাস দিয়ে কোন লাভ নেই। তিনি বলেন ,বর্তমান সরকারের পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হয়েছিল ।তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ২৯ মাসে কর্মচারীদের ২৯ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করেছেন। এর জন্য কর্মচারীদের তার কাছে আসতে হয়নি ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,মহার্ঘ ভাতার পার্থক্য কিভাবে কমানো যায় তা নিয়ে কর্মচারীদের চেয়ে সরকার বেশি চিন্তিত ।তিনি জানান ১% দিয়ে দিতে ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি তিনি এও জানান কর্মচারীদের সমস্যার সমাধান করা হবেই।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সরকারের সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা শিক্ষকদের কাছে। শিক্ষকরা ছাত্রদের দ্বিতীয় পিতা-মাতা ।আপনারাই ছাত্রদের স্বপ্ন দেখাতে পারেন। এই স্বপ্ন যতই সার্থক হবে ততই মানব সম্পদ তৈরি হবে।