গ্রামীন ত্রিপুরাকে অর্থনৈতিকভাবে বিকশিত করে তুলতে রাজ্যের তাঁত শিল্পকে আরো প্রসারিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার ।বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে 11 তম জাতীয় তাঁত দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই কথা জানান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
1905 সালে একই তারিখে চালু হওয়া ‘স্বদেশী’ আন্দোলনের স্মরণে 7 আগস্টকে জাতীয় তাঁত দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। বাল গঙ্গাধর তিলকের স্বদেশী আদর্শের উপর ভিত্তি করে এটি তৈরি হয়েছিল। স্বদেশী আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল দেশীয় পণ্য ও উৎপাদন প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করা। এই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে পালিত হয় 11 তম জাতীয় তাঁত দিবস ।এই উপলক্ষে এদিন রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজাতি কল্যাণ ,তাঁত, হস্তশিল্প ও রেশম চাষ এবং পরিসংখ্যান দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁত হস্তশিল্প এবং রেশম চাষ দপ্তরের অধিকর্তা অজিত শুক্লা দাস, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব লালমিং থাঙ্গা ডার্লং সহ অন্যান্যরা ।এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বলেন, রাজ্যের তাঁত ,হস্তশিল্প এবং রেশম চাষকে আরো উন্নত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যেই সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি আরো জানান ,গ্রামের উন্নয়ন না হলে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয় ।আর গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে হস্ত ও তাঁত শিল্পের ভূমিকা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
এদিন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা আরো জানান ,রাজ্যের উৎপাদিত হস্ত ও তাঁত সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে দিল্লি কলকাতা এবং গোহাটির পর মুম্বইয়ে কাউন্টার খোলা হচ্ছে।