পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগরতলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। সূচি অনুযায়ী ১৩ আগস্ট হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সূর্যোদয়ের পর প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ১৪ আগস্ট শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আসাম রাইফেলস ময়দান, সার্কিট হাউস সংলগ্ন মূর্তি প্রাঙ্গণ, গান্ধীঘাট, শহীদ স্মৃতিসৌধ সহ আগরতলা শহরে সাফাই অভিযান সংঘটিত করা হবে। এছাড়াও সমস্ত সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও সাফাই অভিযান করা হবে। এছাড়াও এদিন সকল ৬টায় উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে মহিলা ও পুরুষ বিভাগে ওপেন ক্রস কান্ট্রি দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ১৫ আগস্ট ভোর ৫টায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা প্রভাতফেরির আয়োজন করা হবে। সকাল ৭টায় সমস্ত সরকারি অফিস, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, পুরপরিষদ কার্যালয়, গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কাউন্সিল কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়াও সকাল ৭টায় সচিবালয় প্রাঙ্গণে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সকাল ৮টায় সার্কিট হাউস সংলগ্ন মূর্তি প্রাঙ্গণে মহাত্ম গান্ধীর মর্মর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেডি নাল্লু। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে গান্ধীঘাটস্থিত গান্ধীবেদিতে রাজ্যপাল পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে লিচুবাগানস্থিত অ্যালবার্ট এক্কা পার্কে শহীদ স্মৃতি সৌধে রাজ্যপাল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আসাম রাইফেলস ময়দানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর মুখ্যমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করবেন। এরপর মার্চ পাস্টে অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৫টায় আগরতলা টাউনহলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় রাজভবনে অনুষ্ঠিত হবে অ্যাট হোম অনুষ্ঠান।