প্রগতির পথে এগিয়ে চলুক রোগ, শোক ও ঝঞ্ঝা মুক্ত জাতি জনজাতির মিলন ভূমি ত্রিপুরা। শনিবার প্যালেস কম্পাউন্ডে আয়োজিত ঐতিহ্য্যবাহী কের পূজোয় অংশগ্রহণ করে পরম করুণাময় ও শক্তিময় ভগবানের কাছে এমনটাই প্রার্থনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। কের পূজোয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায় ও অন্যান্যরা।
শনিবার সারা রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে জনজাতিদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব কের পূজা ।অন্যান্য বছরের মত রাজধানীর প্যালেস কম্পাউন্ডেও এদিন এই কের পুজোর আয়োজন করা হয়। এই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় ,পশ্চিম জেলার জেলাশাসক বিশাল কুমার সহ অন্যান্যরা । এদিন বেশ খানিকটা সময় হাতে নিয়ে কের পূজা প্রত্যক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত অন্যান্যরা ।পূজার প্রধান পুরোহিত রাজ চন্তাই এর আশীর্বাদ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কের পুজো উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, খারচি পুজোর ১৪ দিন পর কের পূজো হয় ।মহারাজা ত্রিলোচনের সময় থেকেই কের পুজু চলে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যবাসীকে বিপর্যয়, রোগ, শোক ও জড়া থেকে মুক্তি দান ,বহিরাগত আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা ,জাতি জনজাতি উভয় অংশের মানুষের সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করার জন্যই কের পূজো হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বাস্তু দেবতার অভিভাবক দেবতা কের কে আরাধনার মাধ্যমে সম্মান জানাতেই এই পুজো করা হয় ।কের দেবতার প্রতিচ্ছবির প্রতীক হিসেবে একটি বড় বাশের টুকরো বাঁকানো হয় ।এরপর একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে সবুজ বাসের সুতো দিয়ে আবদ্ধ করে কের পুজো করা হয়। কেবলমাত্র প্যালেস কম্পাউন্ডেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এদিন চিরাচরিত প্রথা অনুসারে এই মাঙ্গলিক পুজোর আয়োজন করা হয়।