রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ডিজিপির হস্তক্ষেপ দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। কমলপুরের ছোট সুরমার আশীষ দাস হত্যাকাণ্ডে আইপিএস অফিসারের নেতৃত্বে এস আই টি গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করা এবং বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়ের উপর আক্রমণের ঘটনার সঠিক তদন্তেরুর দাবি জানান তিনি। পি সি সি সভাপতি আরো জানান ,নতুবা রাজ্য ব্যাপী বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংঘটিত করে তুলবে প্রদেশ কংগ্রেস।
কমলপুরের ছোট সুরমার চাঞ্চল্যকর আশিস দাস হত্যাকাণ্ডে আইপিএস অফিসারের নেতৃত্বে এস আই টি গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানাল প্রদেশ কংগ্রেস ।সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল পিসিসি সভাপতি আশীষ কুমার সাহার নেতৃত্বে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের সাথে দেখা করে সংশ্লিষ্ট মর্মে স্মারকলিপি প্রদান করে ।ডেপুটেশন প্রদান প্রসঙ্গে পিসিসি সভাপতি বলেন,আশীষ দাস হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় অনেক দুর্বলতা রয়েছে। পুলিশ প্রকৃত অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছতে পারছে না বলে জানান তিনি ।তাই সঠিক তদন্তের স্বার্থে একজন আইপিএস অফিসারের নেতৃত্বে এস আই টি গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করার দাবি জানান তিনি। pcc সভাপতি আরো জানান, রবিবার কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়ের একটি সভায় আক্রমণ সংঘটিত করা হয়েছে। পুলিশের সামনেই বিধায়ককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে ।এর আগে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করা হচ্ছে ।এই অবস্থায় রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। তিনি জানান ,অন্যথায় রাজ্যের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্যব্যাপী বৃহত্তর গণ আন্দোলন সংঘটিত করে তুলবে।
এদিন রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশকের নিকট স্মারক লিপি প্রদানে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন পিসিসি সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিমল বর্মন এবং যুব কংগ্রেস সভাপতি নীল কমল সাহা।