ছাত্র-ছাত্রীরা যেন সিলেবাসের চৌখাট ডিঙিয়ে মূল্যবোধ ,বিকাশ এবং জাতি গঠনের বিষয়ে জানতে পারে সেই উদ্যোগ নিতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ।শুক্রবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক পোর্টালের উদ্বোধন করে এই আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
নিচু ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন একটি পোর্টালের সূচনা হলো শুক্রবার ।রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সমগ্র শিক্ষা এবং এসসিইআরটি ত্রিপুরা’র যৌথ উদ্যোগে তাসকীউএফ বা ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি এসেসমেন্ট এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক নামক একটি পোর্টালের সূচনা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্রকুমার ,বিদ্যালয় শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের কথা ছাত্র-ছাত্রীরা মনে রাখে। তাই ছাত্রদের কাছে শিক্ষকদের পথপ্রদর্শক এবং লিডার হিসেবে তুলে ধরতে হবে। তবেই প্রতিটি বিদ্যালয় উৎকর্ষের কেন্দ্র হবে ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,কেবলমাত্র পাঠ্যপুস্তক পড়লেই চলবে না। মূল্যবোধ ,বিকাশ এবং জাতি গঠনের বিষয়গুলিও ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এমন কথাই বলে থাকেন ।তিনি আরো বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের জন্য ভাবনা ও চিন্তার কারিকুলাম এখন তৈরি হয়েছে ।এই ভাবনা চিন্তা যারা শিক্ষাদান করছেন তাদের মধ্যেও চলে এসেছে। শিক্ষকদের মধ্যে যদি এই চিন্তা ধারা না আসে তবে তা ভাইব্রেট হয়ে ছাত্রদের মধ্যে যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক কাজকর্মেও এগিয়ে আসতে হবে ।তাদেরকে সামাজিক গণ্ডি থেকে দূরে রেখে কেবলমাত্র পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মেতে থাকলে চলবে না। তিনি আরো বলেন ,পারসেন্টেজই শিক্ষার মাপকাঠি নয়। অনেকেই ক্লাসের মধ্যে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন ।কিন্তু পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যাদের মধ্যে জাতীয়তা বোধের উন্মেষ গড়ে ওঠে তারাই বেশি মাত্রায় সফল হয়।