এইচআইভি এবং এইডস এর বিরুদ্ধে যোগাকে হাতিয়ার করে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে ছাত্র-যুবক থেকে শুরু করে সকল অংশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। শনিবার ১১ তম আন্তর্জাতিক যোগা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল ,বিধায়িকা মিনারানী সরকার ,ডিজিপি অনুরাগ ,পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার সহ অন্যান্যরা।
শনিবার সারা বিশ্বে এগারোতম আন্তর্জাতিক যোগা দিবস উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে পালিত হচ্ছে ।সারা দেশের সাথে রাজ্যেও পালিত হচ্ছে এই অনুষ্ঠান ।আন্তর্জাতিক যোগা দিবস উপলক্ষে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের হলঘরে। রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তর এবং ন্যাশনাল আয়ুশ মিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই রাজ্যভিত্তিক যোগা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ।এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী টিংকু রায়, রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল ,মুখ্য সচিব জেকে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অনুরাগ ,যুব কল্যাণ দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, স্থানীয় বিধায়িকা মিনারানী সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক যোগা দিবসের সূচনা লগ্নের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন ,২০১৪ সালে ইউনাইটেড নেশনস এর জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগা দিবস উদযাপনের প্রস্তাব রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।এই অ্যাসেম্বলিতে উপস্থিত ১৭৭ টি দেশ একযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবকে সমর্থন জানায়। এরপর ২০১৫ সালের ২১ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস উদযাপন শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,আমি কে ,আমরাই বা কে তা আমরা যোগার মাধ্যমে জানতে পারি ,চিনতে পারি ।যোগা আমাদের সুষ্ঠু দেহ সুষ্ঠু মন এবং স্বাস্থ্যকর জীবন এনে দেয় ।ছাত্র-ছাত্রী এবং যুবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যোগা যেন একদিনের জন্য না হয় বরং প্রতিদিনের রুটিন হয়ে উঠে ।এর জন্য বয়সের কোনো সীমারেখা নেই ।যোগা নিয়মিত অভ্যাস করলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানে রাজ্যে এইডস এবং এইচআইভি সংক্রমন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,এইচআইভি এবং এইডস নিয়ে সরকার খুবই চিন্তিত ।উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে এইডসে রাজ্যের অবস্থান খুব একটা ভালো নয় ।ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও এইচআইভি এবং এইডসের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় যোগাকে মাধ্যম করে এইডস বিরোধী গণ আন্দোলন খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন রাজ্যের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। এই রাজ্যভিত্তিক যোগা অনুষ্ঠানে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে যোগা প্রদর্শন করেন।