আগরতলা পুর নিগম এলাকায় যানজট এড়াতে গত ১০ জুন সচিবালয়ে পরিবহন মন্ত্রীর সুশান্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিবহন দপ্তর, স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং ট্রাফিক দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় যানজট বিষয় সহ আরও কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সচিবালয়ে প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই সিদ্ধান্তগুলি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রী জানান, এখন থেকে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় চলাচলের অনুমতিপ্রাপ্ত অটোরিক্সাগুলিকে অন্যান্য মহকুমার অটোগুলি থেকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে পুর নিগম এলাকার অটোরিক্সার সামনের অংশটি গোলাপী (Pink) রঙের হতে হবে। আগরতলা পুর নিগম এলাকার ব্যতীত অন্যান্য অটোরিক্সার রং সেই ক্ষেত্রে অপরিবর্তনশীল থাকবে। মূলত আগরতলা শহর এলাকায় যানজট এড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়েই বাইরের অটোর ক্ষেত্রে নিগম এলাকায় প্রবেশে কিছু নিয়মকানুন লাগু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবুও জরুরী ভিত্তিতে আগরতলা পুর নিগম এলাকার বাইরের কোন অটো যদি পুরনিগম এলাকায় প্রবেশ করতে হয় সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অটোর যাত্রীদের উপযুক্ত প্রমাণপত্র প্রদর্শন করতে হবে। যেমন, রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেশক্রিপশান তথা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিসেবা নেওয়ার জন্য আসা এবং বিমান বন্দরে যাবার জন্য যাত্রীদের বিমানের টিকিট দেখাতে হবে ইত্যাদি। পুরনিগমের অটোগুলিকে শীঘ্রই সামনের দিক গোলাপী রং করার জন্য মন্ত্রী অটো মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সমস্ত অটোরিক্সার মালিকগণ এখন থেকে তাদের অটোতে রুট পারমিট প্রদর্শন করতে হবে এবং কেউ নির্ধারিত পারমিট লঙ্ঘন করতে পারবে না। কোন অটোচালক যদি রাজ্য পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত পারমিট অমান্য করে অন্যত্র যাত্রী পরিবহন করে তবে তার জন্য কঠোর নজরদারী এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পরিবহণ মন্ত্রী জানান।
পরিবহণমন্ত্রী আরও জানান, লক্ষ্য করা গেছে ব্যক্তিগত রেজিস্ট্রিকৃত কিছু গাড়ি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা তথা অফিস কর্মীদের বহন করছে। সেই সমস্ত গাড়িগুলির কোন বাণিজ্যিক লাইসেন্সের অনুমতি নেই। তারজন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে জানানো হবে যে, এক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাণিজ্যিক লাইসেন্সপ্রাপ্ত গাড়ীগুলিই যেন ব্যবহার করা হয়। পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি বেসরকারি গাড়ির মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যাদের গাড়ি বিদ্যালয়ে যুক্ত রয়েছে তারা যেন অতিসত্ত্বর তাদের গাড়ির লাইসেন্সকে বাণিজ্যিক লাইসেন্সে পরিবর্তন করে নেয়। আগরতলা পুর নিগম এলাকার বহির্ভূত অটোগুলিকেও সরকারের সিদ্ধান্তসমূহ পালন করার জন্য পরিবহণমন্ত্রী আহ্বান জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন দপ্তরের সচিব ইউ. কে. চাকমা, পরিবহন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী, আই, জি. (আইন শৃঙ্খলা) ইপার ম্যনচাক দয়ানবা, এস পি. (ট্রাফিক) কান্তা জাঙ্গীর।