দেবালয় ,মানুষের বাড়ি ঘরের পর এবার অফিস কাছারিতে হানা দিতে শুরু করেছে চোরের দল ।রবিবার গভীর রাতে আগরতলা পৌরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। অফিসের দরজা ভেঙে চোরের দল লক্ষাধিক টাকা মূল্যের কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে যায় ।ঘটনায় পূর্ব থানার পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠার পাশাপাশি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
রাতের আঁধারে শহরে তস্করদের প্রভাব ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়ে চলছে ।রাতের শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শিথিলতা থাকার কারণেই চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত। চোরের দল মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ,দেবালয় থেকে শুরু করে অফিস কাছারিতে ও হানা দিচ্ছে ।রবিবার গভীর রাতের কোন এক সময়ে আড়ালিয়ার অনুকুল ঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন আগরতলা পৌর নিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে হানা দেয় চোরের দল ।চোর ওয়ার্ড অফিসের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে ফেলে ।আর ও আর এর জমানো টাকা, কম্পিউটার ,কম্পিউটারের স্ক্যানার সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে পালায় ।সোমবার ওয়ার্ড অফিস খুলতে এসে দরজার তালা ভাঙ্গা দেখতে পান ২৭ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের ওয়ার্ড মাস্টার ।তিনি সাথে সাথে কর্পোরেটর সুভাষ ভৌমিক এবং পূর্ব থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ওয়ার্ড অফিসে ছুটে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুভাষ ভৌমিক। ছুটে আসেন আগরতলা পৌর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত ,ইস্ট জোনের চেয়ারম্যান তথা কর্পুরেটর সুখময় সাহা, প্রতাপগড় মন্ডল কমিটির সভানেত্রী সহ অন্যান্যরা। এদিন আগরতলা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত জানান, জনগণকে পরিষেবা যেখান থেকে প্রদান করা হয় সেখানে এই ধরনের ঘটনা সমাজে ভালো বার্তা দেয় না। চুরি কাণ্ডে জড়িতদের তদন্তক্রমে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ওয়ার্ড অফিসে চুরির ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্পোরেটর সুভাষ ভৌমিক। তার অভিযোগ, নেশা কারবারের সাথে জড়িত সমাজ দ্রোহীরাই এই চুরি কান্ডের সাথে জড়িত। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি ।এই ঘটনায় এদিন আড়ালিয়া অনুকূল ঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন এলাকার জনমনে তীব্র চঞ্চল্য ছড়ায়।