আগামী দুই বছরের মধ্যেই নতুনভাবে সেজে উঠবে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্র। বিধানসভা এলাকার যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ এই সময়ের সম্পন্ন করা হবে,।শুক্রবার আগরতলা পৌর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রঞ্জিত নগর এলাকায় জলাশয় পুনঃনির্মাণ ও জলাশয় সৌন্দর্যায়ন অনুষ্ঠানের শিলান্যস করে এই কথা বলেন মেয়র তথা এলাকার বিধায়ক দীপক মজুমদার।
জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে শুক্রবার থেকে আগরতলা পৌর নিগমর 14 নম্বর ওয়ার্ডের রঞ্জিত নগর এলাকার পরিতক্ত জলাশয় টি র সৌন্দর্য্যায়ন শুরু হলো। এদিন শাস্ত্র মেনে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে পূজো করে এই পরিতক্ত জলাশয়ের সুন্দর্যায়নের শিলান্যস অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র তথা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক দীপক মজুমদার, স্থানীয় কর্পোরেটর সহ আগরতলা পৌর নিগমের অন্যান্য কর্পোরেটর ।এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে মেয়র জানান, রাজ্যে বিজেপি সরকার এবং বিজেপি পরিচালিত আগরতলা পৌর নিগমের বোর্ড গঠিত হওয়ার পর রাজ্যের সাথে শহর আগরতলারও উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয় ।আমরা বলেছিলাম শহরকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলবো। সেই মত শহরের রাস্তাঘাট নালা নর্দমা সংস্কার সাধনের পাশাপাশি আগরতলা পৌর নিগম এলাকার ৬৫ টি পরিতক্ত জলাশয়কে সুন্দর করে তা ব্যবহারের জন্য জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে ।এর অঙ্গ হিসেবে রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রঞ্জিতনগর এলাকার দীর্ঘদিনের এই পরিতক্ত জলাশয় টি সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হল। তিনি জানান ,সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক তিনি ।এই বিধানসভা এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, ।আগামী দুই বছরের মধ্যেই রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানান মেয়র দীপক মজুমদার।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ৬০ থেকে ৭০ বছর ধরে রঞ্জিত নগর এলাকার এই জলাশয় টি পরিতক্ত অবস্থায় ছিল। এলাকাবাসী সামাজিক বা মাঙ্গলিক কোন কাজে এই জল ব্যবহার করতে পারতেন না । মশা এবং জঞ্জালের ডিপুতে পরিণত হয়েছিল এই জলাশয় টি ।এর পুনঃনির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি মত জলাশয় পুনর্নির্মাণ ও সুন্দর্যায়নের কাজ শুরু হওয়ায় খুশির রঞ্জিতনগর এলাকার জনগণ।
