আগামী ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সাত দিনব্যাপী রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব খার্চি পূজা। খয়েরপুরের চতুর্দশ দেবতা বাড়িতে অনুষ্ঠিতব্য এই পূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত।—বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন এলাকার বিধায়ক তথা খার্চি পূজা কমিটির চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী।সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন ঝর্না রানী দাস-সহ পূজা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। এবছর খার্চি পূজা উদযাপনের থিম হচ্ছে “অপারেশন সিঁদুর”, যা সমাজে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৩ জুলাই পূজার এবং প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার।খার্চি পূজা কমিটির সভাপতি রতন চক্রবর্তী এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।সমাপ্তি দিনে, ৯ জুলাই, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যের। মেলাকে ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক স্টলদাতাদের জন্য ১৫ জুন থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিতরণ শুরু হবে। মেলাকে নেশামুক্ত* এবং প্লাস্টিকমুক্ত রাখার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাচ-গান ও জোয়ার আসর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধথাকবে। ফুড সেফটি ভ্যান* বাসি খাবার বিক্রি রুখতে নজরদারি চালাবে।সামাজিক দায়িত্ব ও সংস্কৃতিদিব্যাং শিশুদের উৎসাহিত করতে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হবে। মেলায় কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়া ও খেলোয়াড়দের সহায়তা প্রদান করা হবে।বিশেষ ট্রাস্ট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারতনবাবু জানান, চতুর্দশ দেবতা বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ ট্রাস্ট গঠনের আবেদন ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধর্মীয় স্থানটিকে মাতাবাড়ির আদলে নবরূপে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।পর্যটকদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা* , দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে চালু থাকবে বিশেষ বাস ও স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা। প্রস্তুতি চূড়ান্তবৃহস্পতিবার ব্লক অফিসে অনুষ্ঠিত হয় পূজা ও মেলা উপলক্ষে *প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক। রতন চক্রবর্তী জানান, “প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, রাজ্যবাসীকে একটি শান্তিপূর্ণ, আনন্দময় ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ খার্চি উৎসব উপহার দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”