আমাদের আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে মানবতাবোধ গড়ে তোলা আবশ্যক। শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বর নয়, ক্যারিয়ার সর্বস্বতা নয়, ছেলেমেয়েরা গড়ে উঠুক মানবতাবোধ নিয়ে মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে। আজ আগরতলা বনমালীপুরস্থিত শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর সেবা মন্দিরে আয়োজিত এক রক্তদান উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা এই কথা বলেন। তিনি বলেন শিশুদের মধ্যে মানবতাবোধ গড়ে তুলতে সহর্ষ পাঠক্রমের মডিউল তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন মাঝে মাঝে রাজ্যে রক্তের ঘাটতি দেখা দিলেও প্রয়োজন অনুসারে তা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। কোভিড এবং নির্বাচনের সময়ে স্বেচ্ছা রক্তদানের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিলে তা পূরণ করার জন্য রাজ্যের জনগণের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই ঘাটতি মোকাবিলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন। মানুষের সেবার মাধ্যমেই আত্মতৃপ্তি বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে এক দেশ এক ভোট ব্যবস্থা কার্যকর হলে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন জনিত প্রশাসনিক অসুবিধা দূরীভূত হবে। রক্তদানে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এবং বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে সামাজিক সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। তিনি বলেন রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে বছরে প্রায় ৪০ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। গত আর্থিক বছরে প্রায় ৪২ হাজার ইউনিট রাজ্যে রক্ত সংগৃহীত হয়েছে। রক্তদানের ভয় ভীতিকে দূর করে এগিয়ে আসতে মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছে আহ্বান জানান। তিনি বনমালীপুর শ্রী শ্রী রামঠাকুর সেবা মন্দিরে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের বিষয়সমূহ তুলে ধরেন এবং তিনি এই ধরনের সামাজিক কাজকর্মের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
রক্তদান উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র, বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকারের সময়কালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব, সংস্থা ও সংগঠন রক্তদান কর্মসূচিতে এগিয়ে এসেছেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীশ্রী রামঠাকুর সেবা মন্দিরের উপদেষ্টা মন্ডলীর চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ সাংবাদিক সুবল কুমার দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রামঠাকুর সেবা মন্দিরের সম্পাদক স্বপন কুমার বনিক।
বিদেহী চতুর্থ মহন্ত মহারাজ ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিরোধন তিথি উপলক্ষে প্রতিবছরের মত এবছরও বনমালীপুর শ্রীশ্রী রামঠাকুর সেবা মন্দিরে আজ রক্তদান উৎসব আয়োজিত হয়। চল্লিশ জনেরও বেশি রক্তদাতা এই রক্তদান উৎসবে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।