ফের আগরতলা রেলস্টেশন থেকে দুই বাংলাদেশি মহিলা নাগরিক গ্রেফতার ।ধৃতরা হলো নদীয়া আক্তার মিম (১৯ ),বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় এবং রুপালি আক্তার (৩৮ ),বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলায় ।তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশ করে এবং কলকাতা হয়ে মুম্বই যাবার উদ্দেশ্যে আগরতলা রেল স্টেশনে আসে।
বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ফের শুরু হয়েছে অনুপ্রবেশের ঘটনা ।আগরতলা রেল স্টেশনে ২ বাংলাদেশী মহিলা নাগরিকের গ্রেপ্তার এই ঘটনার প্রমাণ ।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যৌথ অভিযানে পুলিশ স্টেশন থেকে এই দুই বাংলাদেশি মহিলা নাগরিককে গ্রেফতার করে। জানা গেছে ,অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলায়ও জিআরপি থানার পুলিশ ,আরপিএফ, বিএসএফ এবং অন্যান্য সিস্টার এজেন্সী গুলির আধিকারিকরা যৌথভাবে রেল স্টেশনে তল্লাশি অভিযান চালায় ।অভিযান কালে দুই মহিলাকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে তারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে উল্লেখ করলেও পরে স্বীকার করে তারা বাংলাদেশী নাগরিক ।ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম নদীয়া আক্তার মিম, বয়স আনুমানিক 19 বছর এবং অপরজনের নাম রুপালি আক্তার ,বয়স আনুমানিক ৩৮ বছর ।নদীয়ার বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় এবং রুপালি আক্তারের বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলায় ।শুক্রবার আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি থানার আধিকারিক এই সংবাদ জানান ।তিনি জানান, ধৃতদের কাছ থেকে একটি আইফোন ,কয়েকটি ভাঙ্গা স্মার্ট মোবাইল ফোন ,কিছু ভারত এবং বাংলাদেশের অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিএনএস, আইপিপি এবং ফরেনার এক্টে মামলা নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান তিনি। জিআরপিএফ আধিকারিক আরো জানান ,ধৃতদের শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আগরতলা রেল স্টেশনের জিআরপি আধিকারিক আরো জানান ,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায়, বাংলাদেশের টাউট সেলিম এবং সুমনের সহযোগিতায় তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করে। কোন সীমান্ত ডিঙিয়ে তারা ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছে তা তদন্তের সার্থে এখনই বলতে নারাজ তিনি ।এই অনুপ্রবেশের ঘটনায় তাদের সাহায্যকারী ভারতীয় টাউট দের নামধাম বের করতে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
