মহা বাসন্তী অষ্টমী তিথিতে শাস্ত্র মেনে রাজধানীর আনন্দময়ী কালীবাড়িতে কুমারী হিসেবে পূজিতা হলেন ছয় বছরের উমা। কুমারী পূজা উপলক্ষে আনন্দময়ী কালীবাড়িতে ভক্তবৃন্দের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
শনিবার মহা বাসন্তী অষ্টমী। বাসন্তী পূজার এই অষ্টমী তিথিতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে শাস্ত্র অনুসারে কুমারী মায়ের পুজোর আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রাজধানীর উমা মহেশ্বরী মন্দির তথা আনন্দময়ী কালীবাড়ি। এদিন শাস্ত্র এবং তিথি মেনে আনন্দময়ী কালীবাড়িতে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। কালিবাড়ির পুরোহিত বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ এবং হোম যজ্ঞের মধ্য দিয়ে পুজো দিলেন ৬ বছরের উমাকে। সমাজের সার্বিক মঙ্গলের লক্ষ্যেই এই পুজো বলে জানান তিনি ।এদিন মহাপুরহিত আরো জানান, শাস্ত্রে রয়েছে ,বানাসুর এক সময় স্বর্গ মর্ত ও পাতাল অধিকার করে ফেলেছিলেন। তার দাপটে বিপন্ন দেবগন মহাকালীর শরণাপন্ন হন। সে সকল দেবগনের আবেদনে সাড়া দিয়ে দেবী পুনর্জন্মে কুমারী রূপে বানাসুরকে বধ করেন ।এই ঘটনার পর থেকেই মর্তে কুমারী পূজার প্রচলন শুরু হয়। তিনি আরো জানান, প্রতিবছরই আনন্দময়ী কালীবাড়িতে বাসন্তী পূজোর অষ্টমীর তিথিতে কুমারী মায়ের পূজো হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য,সেকালের মুনি ঋষিরা কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন। প্রকৃতি মানে নারী। সেই প্রকৃতিরই আর এক রূপ কুমারীদের মধ্যে দেখতে পেতেন তাঁরা। তাঁরা বিশ্বাস করতেন মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বরের অযুত প্রভাব। কারণ মানুষ চৈতন্য যুক্ত। আর যাঁদের সৎ মন কলুষতা মুক্ত, তাঁদের মধ্যে আবার ঈশ্বরের প্রকাশ বেশি। কুমারীদের মধ্যে এই গুণগুলি থাকে মনে করেই তাদের বেছে নেওয়া হয় এই পুজোর দেবী হিসেবে। এদিন আনন্দময়ী আশ্রমে অনুষ্ঠিত কুমারী পূজা কে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।