নিজের সংস্কৃতি থেকে যেন কোনও সমাজ সরে না যায় তার জন্য প্রত্যেকটি মানুষই দায়বদ্ধ । বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে নিজস্ব সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমেই যে কোনও সমাজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব । নারায়ণখামারস্থিত দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসন্ত উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা । তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয় । বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন , যে কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষ তাদের উৎসব যেন উৎসবের মেজাজে করতে পারে সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে । তিনি বলেন , বসন্ত উৎসব একটি ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব । রাজন্য আমলে রাজবাড়িতে বসন্ত রাস উৎসব হতো । তাই এই উৎসবের সাথে রাজ পরিবারের পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক টান রয়েছে । ত্রিপুরাতে মিশ্র সংস্কৃতি বিরাজ করে । এখানে হিন্দু , মুসলমান , জাতি – জনজাতি সকল অংশের মানুষ বর্তমান সরকারের সময় তাদের উৎসব অনুষ্ঠান , সাংস্কৃতিক রীতিনীতি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারছে । তিনি আরও বলেন , ভারতবর্ষ মানেই হলো গ্রাম , সংস্কৃতি , ঐতিহ্য । সেটাই আমাদের সম্পদ । তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রামের স্থাপনা দিবস পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি সমবায়মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন , এই উৎসব অনুষ্ঠানটি বিশেষত মণিপুরী সমাজ গোষ্ঠীর লোকেরাই আয়োজন করে থাকে । তাতে সকল জাতি ও ধর্মের লোক অংশগ্রহণ করে একে সার্বজনীন রূপ দিয়েছেন । তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামীদিনে এই উৎসব আরও বড় আকারে অনুষ্ঠিত হবে । অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতার কথাও তিনি অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অজয় কুমার দাস । অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সদস্য ভুলন সাহা , ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নারায়ণ চক্রবর্তী এবং চৌমুহনিবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান মানিক সরকার । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডুকলি ব্লকের বিডিও বিপুল দাস । অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয়দের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয় ।