আগরতলা, উদয়পুর ও ধর্মনগরে স্যাটেলাইট টাউন তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা তৈরী করার পাশাপাশি আমরা এক আগরতলা শ্রেষ্ঠ আগরতলাও তৈরী করতে চাই। এই কাজে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আগরতলা পুরনিগম আয়োজিত শারদ সম্মান-২০২৪ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। আগরতলা পুরনিগম এলাকার ৫ ১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন ক্লাব ও পূজা কমিটিগুলি আয়োজিত দুর্গাপূজায় সেরা প্রতিমা, সেরা মন্ডপ, সেরা আলোকসজ্জা, সেরা থিম ও মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত পূজা বিভাগে ২ ১টি পুরস্কার আজ তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ বিজয়ী ক্লাব ও পুজো সংস্থার প্রতিনিধিদের হাতে সুদৃশ্য ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে পূবে সক্রিয় হও নীতি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নতি হবেনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিমান পরিষেবা, ট্রেন পরিষেবা, জাতীয় সড়ক প্রভৃতি যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও মাথাপিছু আয় আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরা বেস্ট পারফরমার স্টেট হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি গত আগস্ট মাসে রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা ও বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যবাসীর সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি। আমাদের উপরে রাজ্যবাসীর আস্থা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে পুরনিগম সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে পর্যটন ও খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আইন শৃঙ্খলা ভাল না হলে উন্নয়নের কাজ সম্ভব হয়না। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে। একারণেই রাজ্যে দুর্গাপূজার সংখ্যা, গণেশ পূজার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, আগে দুর্গা পূজার দশমী ছিল আতঙ্কের। বর্তমানে প্রতিমা নিরঞ্জণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের এই স্মার্ট সিটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সব অংশের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে আমাদের চলার পথচলা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার সবার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। আত্মনির্ভর ভারত গঠনের সঙ্গে সঙ্গে আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নেশামুক্ত সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, আগরতলা শহরকে নতুনভাবে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য আগরতলা পুরনিগম কাজ করছে। আগরতলা শহর সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে স্থানীয় ক্লাব ও সামাজিক সংস্থাগুলিকে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মেয়র আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত। অনুষ্ঠান মঞ্চে শারদ সম্মান বিচারকদের সংবর্ধনা জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন।