একই রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে সাউন্ড সিস্টেম জব্দ করেছে রাজধানী আগরতলার এনসিসি থানার পুলিশ। এই ঘটনার জেরে সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
লাউড স্পিকার বাজানোর ক্ষেত্রে আদালতের তরফে নির্দেশিকা রয়েছে। এই নির্দেশিকা মূলত সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে সহনশীল মাত্রার মধ্যে রেখে মাইকসহ লাউড স্পিকার বাজানো নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাত দশটার পর থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজানো নিষিদ্ধ। স্কুল কলেজ হাসপাতালের আশপাশ এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো নিষিদ্ধ। কোন এলাকাতে বাজালেও রোগীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কিছু শৃংখল মানুষ আদালতের এই নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করে লাউড স্পিকার বাজাচ্ছেন। বিশেষ করে জানুয়ারি মাস উৎসবের মরশুম, এই সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে লাউড স্পিকার বাজারের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশিকা লংঘন করার অভিযোগ আসে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজধানী আগরতলার এনসিসি থানার তরফে থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক লাউড স্পিকার জব্দ করা হয়েছে। বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে এনসিসি থানার ওসি সুমন দেব জানান, সোমবার একই রাতে মোট পাঁচটি জায়গাতে অভিযান চালিয়ে হাই ভলিউম বক্স ছয়টি, ১১ টি এমপ্লিফায়ার এবং তিনটি সাউন্ড মিক্সচার জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলির বাজার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা হবে বলে জানান তিনি। রাত একটা দুটো তিনটে পর্যন্ত উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর অভিযোগ আসছিল বিভিন্ন এলাকা থেকে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা অভিযান চালিয়ে মিউজিক সিস্টেম গুলো জব্দ করেন। সেইসঙ্গে সাতজন মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি। আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান জারি থাকবে বলে জানান তিনি। এই সাউন্ড সিস্টেমগুলো রামনগর, ভুবনবন, মধ্য ভবনবন, চাঁদমারী ইত্যাদি জায়গা থেকে সাউন্ড সিস্টেমগুলো জব্দ করা হয়েছে।