Tuesday, December 24, 2024
বাড়িখবররাজ্যবাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে এবং ইসকনের প্রভু চিন্ময় দাস কে...

বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে এবং ইসকনের প্রভু চিন্ময় দাস কে নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে কাঠিয়া বাবা গুরু কুলম রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয় খোয়াই জেলাশাসকের হাতে ।

বসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৩ই ডিসেম্বর….. বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকে হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও নির্যাতন বেরেই চলেছে । পাশাপাশি বাংলাদেশের ইসকনের প্রভু চিন্ময় দাস কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে খোয়াই জেলা শাসকের কাছে স্মারক লিপি তুলে দেন কাঠিয়া বাবা গুরু কুলম সেবা ট্রাস্ট খোয়াই শাখার পক্ষ থেকে। শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন, ইসকনের প্রভ চিন্ময় দাস কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং বিনা শর্তে মুক্তির দাবিতে কাটিয়া বাবা সম্প্রদায়ের ভক্তরা প্লে কার্ড হাতে নিয়ে খোয়াই জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়।শেষে শুক্রবার বিকালে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল খোয়াই জেলা শাসক চাঁদনী চন্দ্রনের সাথে দেখা করে তাদের স্মারক লিপিটি তুলে দেন । এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন যদুনন্দ দেবনাথ , আইনজীবী দেবাশীষ দেবনাথ , কাঠিয়া বাবা গুরু কুলম সেবা ট্রাস্ট কাতলামারা শিমনা আশ্রমের সম্পাদক মান্না রায় সহ অন্যান্য ভক্তরা । জেলাশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যদুনন্দ দেবনাথ বলেন বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে অন্যদিকে ইসকনের প্রভু চিন্ময় দাস কে জেলবন্দি করা হয়েছে। ওনাকে বিনা শর্তে মুক্তি দাবিতে জেলাশাসকের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। জাতে সরকার এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিকারের ব্যবস্থা করে এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করে । সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাঠিয়া বাবা ট্রাস্টের খোয়াই শাখার পক্ষ থেকে যদুনন্দ দেবনাথ এও বলেন হিন্দুদের উপর আক্রমণ বন্ধ না হলে পরবর্তী সময়ে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকদেরকে নিয়ে । তবে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ চিনময় প্রভুর গ্রেপ্তার এবং ওনাকে নিঃসর্ত্ত্বে দাবিতে খোয়াইতে এই প্রথম কাঠিয়া বাবা ট্রাস্ট নামক ধর্মীয় সংস্থার পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয় । যদিও এই বিষয়ের উপর এখন অব্দি কোন ধর্মীয় সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোন ধরনের ডেপুটেশন বা প্রতিবাদ সভা করা হয়নি । এখন দেখার বিষয় রাষ্ট্রীয় স্তরে বাংলাদেশের এই ঘৃণ্য ঘটনকগুলোকে নিয়ে কেন্দ্র সরকার কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 1 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য