পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পশু-সখীদের প্রান্তিক এলাকা পর্যন্ত যাওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞা ভবনে পশু পালন দপ্তরের উদ্যোগে A-HELP কর্মসূচির উদ্বোধন করে এই পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ,দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞা ভবনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়োজিত পশু-সখীদের জন্য A-HELP কর্মসূচির সুচনা হল। এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ,দপ্তরের সচিব দীপার ডি নায়ার সহ অন্যান্যরা। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের জিএসটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একমাত্র এই দপ্তর বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে ।এই ক্ষেত্রে পশু-সখীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ।তাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে প্রাণীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশংসনীয় সব প্রকল্প চালু করছেন ।এই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দপ্তর গুলি কাজ করে চলছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, রাজ্য মাংস উৎপাদনে সয়ংভর থাকলেও দুধ এবং ডিম উৎপাদনে অনেকটাই পিছিয়ে ।এখনো চাহিদা মত ডিম এবং দুধ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না ।অথচ এই ক্ষেত্রে রাজ্যে বিরাট বাজার পরে রয়েছে ।অনেক বেকার যুবকরা এই দপ্তরের মাধ্যমে সাবলম্বী হতে পারে।মন্ত্রী জানান ,দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে রাজ্যের প্রতি জেলায় একটি করে কম্প্রিহেনসিভ ডায়েরি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পশু-সখীদের এ হেল্প কীট প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য ,বর্তমানে রাজ্যে ১০৭৭ জন সক্রিয় পশু সখী রয়েছেন ।এদের মধ্যে মোট ৩০০ জন পশু সখীকে এ হেলপ কর্মসূচিতে ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ।বাকি পশু সখিদের ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে প্রশিক্ষনে আওতায় আনা হবে ।প্রথম ব্যাচের পশু-সখীদের প্রশিক্ষণ আগামী 16 ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে।