ব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এইডসের ভাইরাল লোড হ্রাস করা সম্ভব ।রবিবার রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপনের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে রাজ্যে এইডস প্রতিরোধে বিশেষ কৃতিত্বের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।
রবিবার বিশ্ব এইডস দিবস। মারণ ব্যাধি এইডস সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দিতে গোটা বিশ্বে এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করা হয় ।সারা দেশের সাথে রাজ্যেও এদিন বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই উপলক্ষে রাজ্যভিত্তিক উদযাপনের মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে ।ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্তে সহ রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির আধিকারিকরা ।অনুষ্ঠানে রাজ্যে এইডস প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা কে পুরস্কৃত করা হয় ।মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য অতিথিরা সামাজিক সংস্থার আধিকারিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,পার্শ্ববর্তী রাজ্য মনিপুরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পার্শ্ববর্তী রাজ্য হওয়ায় ত্রিপুরাতেও তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে ।এই বিষয়ে সরকার নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে ।তিনি আরো বলেন, এইডস নিয়ে সারা বিশ্বেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু কোভিড সময়কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখানো পথে আমরা কোভিড মোকাবেলায় সক্ষম হতে পারলে এইডসের থাবা থেকে আমরা রেহাই পাব না কেন ।তিনি বলেন ,এইডস প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে ।এই ব্যবস্থাগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলেই আমরা এইডসের ভাইরাল লোড হ্রাসে সক্ষম হতে পারব।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব কিরণ গীত্যে।তিনি বলেন ,এইডসের ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। তাই সতর্কতা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাই এই মারণ ব্যাধি প্রতিহতের ক্ষেত্রে প্রধান হাতিয়ার।