প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সক্রিয় উদযোগে রাজ্যের জিডিপির হার আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী ।শুক্রবার প্রজ্ঞা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক সহযোগিতার রাজ্যভিত্তিক সূচনা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এই আশা প্রকাশ করেন ।অনুষ্ঠানে দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস রাজ্যে ডিম ও দুধ উৎপাদনে ইচ্ছুক প্রাণী চাষীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কৃষকদের মতো রাজ্যের প্রাণী কৃষকদের পশু পালনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি যোজনা সূচনা করা হয়। এই পরিকল্পনায় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর প্রাণী চাষীদের বছরের ৬০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করে ।এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক সাহায্য প্রদান অনুষ্ঠানের সূচনা হলো শুক্রবার ।এই উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে প্রজ্ঞা ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ।এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,রাজ্যে ডিম দুধ ও মাংসের উৎপাদনে স্বয়ম্বর হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর। এই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে রাজ্যের প্রাণী কৃষকরা উৎসাহিত হবেন এবং এতে করে রাজ্যের জিডিপি আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ,দেশে প্রাণিসম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করে চলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই দিশাকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার কাজ করে চলছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রি সুধাংশু দাস জানান, প্রাণী কৃষকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে প্রাণী কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মান নিধি যোজনা চালু করা হয়েছে ।এতে করে কৃষকদের মতো তারাও বছরের 6000 টাকা করে সহায়তা পাবেন। মন্ত্রী সুধাংশু দাস আরো জানান, রাজ্যে ডিম এবং দুধের প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।চাহিদা অনুসারে রাজ্যে ডিম এবং দুধের যোগান অনেকটাই কম। এই ক্ষেত্রে রাজ্যে বিশাল বাজার পরে রয়েছে। ইচ্ছুক প্রাণী চাষীদের এই লক্ষ্যে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর।
অনুষ্ঠানে নির্বাচিত বেনি ফিসারিদের হাতে সাহায্য তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা ।এই অনুষ্ঠানে জাতীয় লাইফ স্টক মিশনের অধীনে অনলাইন আবেদনের বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।