চলতি বছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করলো প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। বৈঠকে বাজেট বরাদ্দের কতটা অর্থপ্রাপ্তি হয়েছে ,কোন কোন খাতে অর্থ ব্যয় হয়েছে এবং বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এদিন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস এই সংবাদ জানিয়েছেন।
সোমবার গোর্খাবস্তিস্থিত প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের কার্যালয়ে দপ্তরের দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ,দপ্তরের সচিব ,অধিকর্তা, প্রতিটি জেলা থেকে আগত সহ অধিকর্তা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে চলতি অর্থবছরের বাজেট অনুসারে কতটা অর্থ দপ্তর পেয়েছে, সেই অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে এবং কতটা অর্থ অব্যয়িত রয়েছে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।পাশাপাশি দপ্তরে কৃষকদের কাছে যে সমস্ত প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত প্রকল্পগুলির অগ্রগতি এই পর্যালোচনা বৈঠকে খতিয়ে দেখা হয়। এদিন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রিস সুধাংশু দাস এই সংবাদ জানিয়েছেন।
মন্ত্রী সুধাংশু দাস আরো জানান ,সাম্প্রতিক বন্যায় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৮ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা হবে ।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ।সরকার ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে ৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ।ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়েও জানানো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার থেকে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।
এদিন মন্ত্রী সুধাংশু দাস আরো জানান ,বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে বেকারদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ।পাশাপাশি রাজ্যে দুধ এবং মাংসের ঘাটতি পূরণে দপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।