Friday, August 8, 2025
বাড়িখবররাজ্যবাউল গান আমাদের লোকসংস্কৃতির এক বহমান ধারা বললেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী

বাউল গান আমাদের লোকসংস্কৃতির এক বহমান ধারা বললেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী

বাউল গান আমাদের লোকসংস্কৃতির এক বহমান ধার তাই বাউল গানের বিকাশ আমাদের সংস্কৃতির সমৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাঠে থেকে বাউল সংগীতের সৃষ্টি । এই গানের মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলার মনের কথা , প্রাণের কথা বেরিয়ে আসে । আজ জিরানীয়ার মজলিশপুর গুরুকুল কমিউনিটি হলে ত্রিপুরা লোকসংস্কৃতি সংসদ , তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এবং রাণীরবাজার পুর পরিষদ , জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েত ও জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় দু’দিনব্যাপী আয়োজিত চতুর্থ রাজ্যভিত্তিক বাউল উৎসবের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন । বাউল উৎসবে বরিষ্ঠ বাউল শিল্পী সুবল দাস বৈষ্ণব , লোকশিল্পী গিরীন্দ্র মজুমদার এবং লোকশিল্পী গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় । মন্ত্রী শ্রী সুশান্ত চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের উত্তরীয় পরিয়ে হাতে সম্বর্ধনা মানপত্র তুলে দেন । তাছাড়াও অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে ত্রিপুরা লোকসংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি উপহার দেওয়া হয় । এছাড়া লোকসংস্কৃতি সংসদের শিল্পীদের সহায়তার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানের জন্য এক দাবি সনদপত্র মন্ত্রী শ্রী চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়া হয় । অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন লোকসংস্কৃতি সংসদের শিল্পীগণ । দু’দিনব্যাপী বাউল উৎসবে সারা রাজ্য থেকে আগত ৪৬ জন বাউল শিল্পী বাউল সংগীত পরিবেশন করবেন । বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন , বর্তমানে এই ইন্টারনেট , ডটকমের যুগে অতি আধুনিকতার ছৌবলে উৎসবে আনন্দ উপভোগ করার মতো সময় কমে যাচ্ছে । কিন্তু তারমধ্যেও আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে । সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই একটা সমাজ তথা দেশের ঐক্য ও সংহতি গড়ে উঠে । একটা বলিষ্ঠ সমাজ গঠন হয় । তিনি বলেন , আমাদের সরকার এই সংস্কৃতি ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত লোকশিল্পী উভয়কেই সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যেই কাজ করছে । এই জন্যই আজকের এই বাউল উৎসবের আয়োজন । আর এই দায়িত্ব গুরুত্ব সহকারে আমাদের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর পালন করছে । তিনি বলেন , আগামী দিনে রাজ্যের ৫৮ টি ব্লকের প্রতিটিতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে ৪ টি করে সাংস্কৃতিক টিম । প্রতিটি টিমে ২৫ জন করে সদস্য থাকবেন । ঐ টিমে বাউল শিল্পীদের নামও নথিভুক্ত করা হবে । এছাড়া বাউল শিল্পীদের উৎসাহিত করতে তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে । তিনি আরও বলেন , দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উভয়ই সংস্কৃতি বিকাশের জন্য আন্তরিকভাবে সহানুভুতিশীল । যুবসমাজকেই তিনি এ দুদিনের জন্য আধুনিকতার স্পর্শ মুক্ত হয়ে এ উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান । অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস , ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ , রাণীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস , জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস , বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক এবং জিরানীয়া ব্লকের বিডিও উৎপল চাকমা । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রিপুরা লোকসংস্কৃতি সংসদের সভাপতি অরুণ নাথ , স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা লোকসংস্কৃতি সংসদের সদস্য মনোরঞ্জন দাস ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

8 − five =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য