চৈত্রের শুরুতে কৃষিজমি থেকে পুকুর জলের টান, সর্বত্রই মাটি ফেটে চৌচির। বৃষ্টি না থাকাতে এবং প্রয়োজনীয় জলের অভাবে এমন দুর্বিষহ অবস্থা। এ কারণে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ, সেই সাথে মহাকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়কের অসহযোগিতার কারণে কৃষকরা একপ্রকার দিশেহারা। ঘটনা তেলিয়ামুড়া কৃষি মহাকুমার অধীনে বালু ছড়া, কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, জুম বাড়ী, ব্রম্যছড়া সহ একাধিক এলাকা গুলিতে প্রয়োজনীয় জলের অভাবে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না তাদের কৃষি জমিতে। তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। চৈত্রের শুরুতে প্রয়োজনীয় জলের অভাবে এবং বৃষ্টি না থাকার কারণে কৃষিজমি থেকে পুকুর জলের যেমন টান ধরেছে তেমনি কৃষিজ জমি ফেটে চৌচির হয়ে জলের জন্য খাঁ খাঁ করছে। কৃষকদের স্বার্থে এলাকায় সাব মার্জিবল মেশিন থাকলেও সেটি বর্তমানে অকেজো। কৃষকরা জলের জন্য স্থানীয় তেলিয়ামুড়া কৃষি মহাকুমা তত্ত্বাবধায়কের সাথে যোগাযোগ করেও তেমন সুফল পাচ্ছে না। মূলত কৃষি তত্ত্বাবধায়ক কৃষকদের স্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন না বলে অভিযোগ। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের থাকলেও দফতর কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এদিকে ব্রম্যছড়া এলাকার এক শিক্ষিত যুবক তথা কৃষক অজিত সরকার বলেন,জলের অভাবে কৃষি জমি ফেটে চৌচির, কৃষি জমির তস নষ্ট হয়ে যায়, ফলে কৃষি জমিতে কৃষিজ ফসলের গাছগাছালি দীর্ঘদিন ধরে একপ্রকার শুকিয়ে কাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম।এরকম অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে খরার পদধ্বনি বয়ে আনতে পারে।তাদের দাবি প্রশাসন যেন দ্রুত জলের ব্যবস্থা করে দেয় তাদের কৃষিকাজের জন্য। কারণ তাদের কৃষিকাজই হল আয় উপার্জনের একমাত্র সম্বল।