উচ্চ আদালতের রায়ে স্পষ্ট করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলা হলেও এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। অপেক্ষা করবো আদালত নিজে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিনা তা নাহলে আদালতের আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলারমাঠ দশরথ দেব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অনিয়ম সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই বিষয়ে ত্রিপুরা উচ্চ আদালত এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে রাজ্যের রাজনৈতিক অপরাধীকরণের কথা যেমন স্বীকার করেছেন তেমনি এই ডিজিটাল যুগে অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্ব সহকারে দেখে আইন সংশোধনের কথা উল্লেখ করেন।জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন আজকের এই রায় আমাদের দাবির স্বীকৃতি। তিনি বলেন যেভাবে নলছড় ও ডুকলি ব্লকে সিপিএম এর ওপর বোমা হামলা ও ইট বৃষ্টি হয়েছে তা সরাসরি আদালতের আদেশের অবমাননা।এই হামলায় প্রাক্তন সাংসদ ঝর্না পাল সহ আহত অনেকে । তা সত্বেও প্রার্থীরা তৈরি ছিলেন মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার জন্য।কিন্তু রক্তারক্তি রুখতে আমরা ফিরে এসেছি।আমরা আগেই বলেছি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পুরোপুরি প্রহসনে পরিণত করা হবে সেটাই হয়েছে। এই ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করতে পারেন না বলে তিনি জানান।এর সমর্থনে বেশ কয়েকটি ভিডিও ও অডিও ক্লিপিং সাংবাদিকদের দেখান।।তিনি জানান ১১৩টি জেলা পরিষদের আসনের মধ্যে ১০০টিতে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম।শুধুমাত্র জেলা সদরে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার বিষয়টি ছিল বলে।কিন্তু ব্লকস্তরের প্রশাসন সেটা করতে পারেনি। সাংবাদিক সম্মেলনে মানিক দে বলেন মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার জন্য এবারের উৎসাহী মানুষের চেহারা দেখে বিজেপি ভয় পেয়ে আক্রমন নামিয়ে এনেছে। প্রতিরোধ হয়েছে আরও হবে।