দক্ষিণ জিলা পরিষদের বাম প্রার্থী তথা রাজনগরের সিপিএম নেতা বাদল শীলকে খুন করার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজধানী সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বনধে আংশিক প্রভাব পড়েছে। তবে বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যেও কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন ছিল পুলিস। তবে বনধ আহ্বান কারীরা কোথাও পিকেটিং করেননি।দক্ষিণ জেলার রাজনগরের সিপিএম নেতা বাদল শীল এবার জিলা পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী হয়েছিলেন। ১২ জুলাই তিনি মনোনয়নপত্রও জমা দেন। অভিযোগ সেদিনই বিকেলে স্থানীয় বাজারে গেলে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করে।এতে গুরুতর আহত হন বাদল শীল। স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। শনিবার দুপুরে তিনি চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে প্রয়াত হন।তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার ১২ ঘণ্টা ত্রিপুরা বনধ ডাকে বামেরা রবিবার সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত। এদিন বনধে আংশিক প্রভাব পড়ে রাজ্যে। তবে রবিবার থাকায় রাজধানী আগরতলায় এমনিতেই দোকানপাট বন্ধ থাকে শহর জুড়ে। প্রতি রবিবারের মতই অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ ।তবে কিছু কিছু দোকান ছিল খোলা। পাশাপাশি রিক্সা অটোরিকশা এবং দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করলেও সংখ্যায় কিছুটা কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে।যদিও ধর্মঘটের সমর্থনে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার পিকেটিং করা হবে না বলে সাংবাদিক সম্মেলন জানানো হয়েছিল বাম নেতৃত্বের তরফে। কিন্তু এদিন মেলারমাঠ এলাকায় দেখা যায় কিছু কিছু গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন সিপিএম সমর্থকরা। তবে বামফ্রন্ট কমিটির ডাকা ত্রিপুরা বনধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।