মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৩০-তম পর্বে আজও বহু মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে নানাবিধ সমস্যা নিয়ে বহু সাহায্য প্রত্যাশী এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসে। চিকিৎসা, পড়াশুনার সমস্যা, সামাজিক ভাতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমস্যাপীড়িতদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান ও লাঘব করার চেষ্টা করেন। গান্ধীগ্রামের অত্যন্ত দুঃস্থ পরিবারের সিদ্ধার্থ দেব আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পরিবারের আর্থিক অস্বছলতার কারণে নিয়মিতভাবে সে কলেজের বার্ষিক ফিস দিতে পারছিল না। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানালে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত স্টাডি লোনের ব্যবস্থা ছাড়াও কিভাবে সাহায্য করা যায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তীকে দায়িত্ব দেন।চিকিৎসার সাহায্যের জন্য এসেছিলেন সোমা ঘোষ সেনগুপ্ত, জিরানীয়ার নমিতা দাস, বিশালগড়ের পার্থ সাহা, বক্সনগরের দুলাল বণিক, টাউন প্রতাপগড়ের নন্দিতা দাস মেলাঘরের মনোজ কুমার চৌধুরী আরো অনেকে। প্রত্যেকেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা জানান। সমস্যার যে যে ক্ষেত্রে যে রকম সমাধান প্রয়োজন সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহায়তার আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে উপস্থিত জিবি হাসপাতালের সুপার ডাঃ শঙ্কর চক্রবর্তী এবং ক্যান্সার হাসপাতালের সুপার ডাঃ এস. দেববর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য নির্দেশ দেন। রাজ্যেই যেহেতু চিকিৎসার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে সেই সুযোগ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি পরামর্শ দেন। সমস্যার গুরুত্বের নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজনকে আর্থিক সহায়তা করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচিতে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে যতটা সম্ভব সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনে বিধিনিষেধ থাকার কারণে সবসময় নিয়মিত এই কর্মসূচি চালু রাখা সম্ভব হয়নি। তাই বিশেষভাবে চিকিৎসা সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে যারা আসছেন তাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করার প্রয়াস জারি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ড. ব্রাহ্মিক্ষ্মত কৌর, জিবিপি ও ক্যান্সার হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।