রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গণবন্টন ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও সুদৃঢ় হয়। আজ অরুন্ধতীনগরস্থিত খাদ্য দপ্তরের কেন্দ্রীয় মজুতভান্ডারে নতুন ক্রয় করা ৫টি ট্রাক গাড়ির যাত্রার সূচনা করে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য এই গাড়িগুলি ক্রয় করা হয়েছে। রাজ্যে এখন ২ হাজারের বেশি ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ভোক্তাদের মধ্যে বন্টন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ট্রাক গাড়িগুলি ক্রয় করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রাজের জনদরদী সরকার সকল স্তরের মানুষের বিকাশে কাজ করছে। খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্টোরে নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরি আগামীদিনে আরও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু এক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিজ নিজ কাজ দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থাকে সূচারুরূপে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টোরে কর্মরত শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই রাজ্য সরকার সময়ে সময়ে প্রয়োজন অনুসারে শ্রমিকদের স্বার্থে যে কোনও ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশের মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সমাজে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের উন্নয়নে ব্রতী হওয়ার দরুণ এই সাফল্য।
অনুষ্ঠানে দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার বলেন, নতুন ৫টি গাড়ি নিয়ে দপ্তরের মোট ২২টি গাড়ি রয়েছে। এরফলে ধান ক্রয় থেকে শুরু করে গণবণ্টন ব্যবস্থায় বিভিন্ন সামগ্রী পরিবহণ আগের তুলনায় অনেক সুবিধাজনক হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা হর্টিকালচার কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান জওহর সাহা, দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী এবং অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা।