গন্ডাতুইসা মহকুমায় অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয়। উল্লেখ্য, আজ বিরোধী দলনেতা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে গন্ডাতুইসা মহকুমায় অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রির ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ বিভ্রান্তিমূলক ও অসত্য। আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, গন্ডাতুইসা মহকুমার মুরমতী ত্রিপুরার সদ্যোজাত সন্তান বিক্রির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার নজরে আনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ঘটনার তদন্ত করে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনা সঠিক নয়। মুরমতী ত্রিপুরার কিছুদিন পূর্বে স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। এর আগেই তার ৫ সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর ষষ্ঠ সন্তান গত ২২ মে, ২০২৪ তারিখে জন্মগ্রহণ করে। মুরমতী ত্রিপুরা সদ্যোজাত শিশুকে দত্তক দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। খাদ্যমন্ত্রী জানান, তার পরিবার গণবণ্টন ব্যবস্থায় সব সুবিধা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য চাইন্ড রাইট প্রোটেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহ প্রশাসনের আধিকারিকগণ মুরমতী ত্রিপুরার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বর্তমানে মুরমতী ত্রিপুরা ও তার সদ্যোজাত সন্তানের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য কুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।