২০২১ সালে করোনা কালীন সময়ে রাজধানীর বিয়েবাড়ি কাণ্ডে হাইকোর্টে ক্লিনচিট পেলেন শৈলেশ কুমার যাদব। বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ শৈলেশ কুমার যাদব কে সংশ্লিষ্ট তিনটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। সংশ্লিষ্ট তিনটি মামলাই খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।করুণা চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাজধানীর দুটি বিয়ে বাড়িতে অধিক রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাধা দেন তৎকালীন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডক্টর শৈলেশ কুমার যাদব। ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালের ২৬ এপ্রি ল ।সেই সময় করুণার বার বারন্তের জন্য গোটা রাজ্যে রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ লাগু ছিল। লাগু ছিল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্ট। ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্ট লাগু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রাত দশটার পর কোন সামাজিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ছিল ।কিন্তু ২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গোলাপবাগান এবং মানিক্য কোর্টে কারফিউ জারি হওয়ার পরও অনুষ্ঠান চলছিল ।খবর পেয়ে তৎকালীন জেলাশাসক ডক্টর শৈলেন কুমার যাদব ২৬ এপ্রিল রাত প্রায় সোয়া এগারটায় প্রথমে গোলাপ বাগান বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ।এই বিয়ে বাড়ির সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন তিনি ।এরপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রাজধানীর মানিক্য কোর্টে যান তিনি। সেখানেও ডিজে বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলছিল ।ডক্টর শৈলেশ কুমার যাদব মানিক্য কোর্টের অনুষ্ঠানও বাতিল করে দেন ।বিষয়টি নিয়ে শৈলেশ কুমার যাদবের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল ।হাইকোর্টে একটি মামলা করেছিলেন মানিক্য কোর্টের বিয়ের অনুষ্ঠানের পাত্রীর বাবা স্বপন কুমার দেব। আরেকটি মামলা করেছিলেন গোলাপ বাগান বিয়ে বাড়ির পুরোহিত সর্বানন্দ ঝা।তৃতীয় মামলাটি হয় জনস্বার্য সংশ্লিষ্ট। আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা এই মামলাটি করেছিলেন। তিনটি মামলাকেই একত্রিত করে হাইকোর্টে শোনানি শুরু হয় ।দীর্ঘ সুনানির পর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট তিনটি মামলা থেকে ডঃ শৈলেশ কুমার যাদব কে অব্যাহতি দেয়।তিনটি মামলাই খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন ব্যাঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার শিং এবং বিচারপতি অরিন্দম লোধ। এদিন ডক্টর শৈলেন কুমার যাদবের পক্ষের আইনজীবী সম্রাট কর ভৌমিক এই সংবাদ জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সংশ্লিষ্ট মামলায় তিনবার তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তৃতীয় বারের তদন্তে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ বামদেব মজুমদার ।তিনটি রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয় ডক্টর শৈলেশ কুমার যাদব কাউকে থানায় নিয়ে যাওয়ার মত কাজ করেননি। উল্লেখ্য যে রাজধানীর দুইটি বিয়ে বাড়ির ঘটনা গোটা দেশজুড়ে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।