জ্বালানি তেল সংকট যথারীতি বহাল। টানা প্রায় ১৪ – দিন ধরে তেল সংকট চলছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলায় তেল সংকট বেড়েছে আগের তুলনায়। এদিন সংকট সর্বকালীন রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এমনই অভিমত যানবাহনের চালক সহ পেট্রোল পাম্পের সঙ্গে যুক্তদের। বনমালীপুরের জ্যোৎস্না এবং অপরটি বড়দোয়ালীর রাজধানী পেট্রোলিয়াম এজেন্সি। উভয় পাম্পেই তেলের জন্য লাইন ছাড়িয়ে গেছে পাম্প থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। দিনভর চূড়ান্ত রকমের নাজেহাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অবশ্য শহরের আরও তিনটি পাম্পে তেল এসেছে। বৃহস্পতিবার আগরতলায় আইওসির সবকয়টি পাম্পে তেল থাকবে এমনই আশা করেন সংস্থার রাজ্য সমন্বয়সাধক প্রমিত ধর। তবে কোনও আধিকারিকের কথাই বিশ্বাস করতে রাজি নন ভুক্তভোগীরা। তেল সংগ্রহ করতে গিয়ে দিনের পর দিন নাজেহাল হয়ে চলা সাধারণ মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতায় সব কিছু যাচাই করে নিচ্ছেন। তারা দেখেছেন সরকারী অথবা সরকার অধিগৃহীত কোনও আধিকারিকের কথাই বাস্তবে ফলছে না। ফলে রাজ্যের খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারীর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চান না তারা। একইভাবে গুরুত্ব দিতে চান না উত্তর-পূর্ব সীমান্তরেলের লামডিং ডিভিশনের ডিআরএম প্রেমরঞ্জন কুমার অথবা আইওসির রাজ্য সমন্বয়সাধক সহ অন্য কারও কথা। জ্বালানিতেলের লাইনে দাঁড়ানো ক্ষুব্ধ মানুষের এর বক্তব্য তাদের কাছে কি আর কোনও কাজ নেই। সকাল ও সন্ধ্যায় শুধু এই যানবাহনের তেল সংগ্রহের জন্য এই পাম্প থেকে সেই পাম্পে ঘুরে বেড়াতে হবে। তাও নিয়ন্ত্রণের নামে তেল দেওয়া হবে যৎসামান্য পরিমাণ। তাদের সময়ের কি কোনও দাম নেই? ক্ষুব্ধ মানুষের মুখে গত কয়েকদিন ধরে এই জাতীয় কথা।