অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা গ্রাচুইটি প্রাপ্য,রায় দিল উচ্চ আদালত।রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকাদের অবসরের পর গ্রাচুইটি প্রদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ।এদিন এই রায় সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন।
আই সি ডি এস প্রকল্পে কর্মরত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকাদের গ্র্যাচুটি প্রদান করতে হবে। বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে রাজ্য সরকারকে এই কথা জানিয়ে দিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট ।এদিন ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি এস দত্ত পুরকায়স্থ এই রায় প্রদান করেন। রায়দানের পর সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন ।তিনি জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকাদের ক্ষেত্রে পেমেন্ট অফ গ্রাচুইটি অ্যাক্ট প্রযোজ্য। তাই অঙ্গনওয়ারী কর্মী এবং সহায়িকারা অবসরের পর গ্রাজুইটি প্রাপ্য ।এদিন এক গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেছেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি এস দত্ত পুরকায়স্থ। এদিন এই সংবাদ জানিয়ে আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন আরো বলেন ,এই রায়ের ফলে অঙ্গনারী কর্মী এবং সহায়িকাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার সমাধান হলো ।তারা আইনিপথে অধিকার আদায় করতে পারলেন ।এই রায় রাজ্যের সব অঙ্গনারী কর্মী এবং সহায়িকা দের কাছে খুবই খুশির খবর বলে মনে করেন তিনি।এদিন আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন আরো জানান, এই রায়ের ফলে অঙ্গনারী কর্মী এবং সহায়িকাদের অবসর গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে গ্র্যাচুইটি প্রদান করতে হবে ।না হলে সুদ সহ এই টাকা প্রদান করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ,২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে বলে ছিল, অঙ্গনারী কর্মী এবং সহায়িকারা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দায়িত্ব পালন করছেন ।তারা গ্রাচুইটি প্রাপ্য ।সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অবসর প্রাপ্ত অঙ্গনারী কর্মী এবং সহায়িকারা রাজ্য সরকারের কাছে গ্রাচুইটি প্রদানের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রাজুইটির টাকা তারা পাননি ।ফলে ২০জন অঙ্গনারী কর্মী এবং সহায়িকা উচ্চ আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই মামলা দায়ের করেন।