বৃহস্পতিবার গোটা বিশ্ব এবং দেশের সাথে রাজ্যেও পালিত হচ্ছে খুশির ঈদ “ঈদ উল ফিতর “।এই উপলক্ষে রাজধানীর গেদু মিয়ার মসজিদে পবিত্র নামাজ পাঠ হয় । ঈদের নামাজ পাঠের মধ্য দিয়েই শুরু হয় উৎসব ।এদিন গেদু মিয়ার মসজিদে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া । তিনি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। মঙ্গলবার হতাশ করলেও বুধবার সন্ধ্যা রাতেই দেশের সর্বত্রই দেখা মিলেছিল ঈদের চাঁদ ।তারায় ভরা আধার রাতের আকাশের ঐ এক ফালি চাঁদ দেশবাসীর মনে উৎসবের বার্তা বয়ে এনেছিল। মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ৩০ দিন ব্যাপী রোজার অন্তিম দিন পালনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছিলেন চাঁদনী রাত।আর বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যের রক্তিম আলো বয়ে আনে সবার মধ্যে খুশির আবহ। একমাস রোজা পালনের মাধ্যমে পাপ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এই খুশির আবহই ঈদ-উল-ফিতর ।এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় রাজধানীর গেদু মিয়ার মসজিদে হয় ঈদের পবিত্র নামাজ পাঠ। নামাজ পাঠ করেন মৌলানা আব্দুল রহমান।ঈদ উল ফিতরের পবিত্র নামাজ পাঠ শেষে মৌলানা আব্দুল রহমান ঈদ উপলক্ষে রাজ্যবাসী এবং দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। ঈদ-উল-ফিতরের এই খুশির আবহ রাজ্য ও দেশের সকল অংশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌভাতৃত্বের বার্তা বয়ে আনুক- এমনটাই কামনা করেন তিনি। এদিন গেদু মিয়ার মসজিদে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। তিনি জানান ,ঈদ-উল ফিতরের এই খুশী সবার মনে আনন্দ ও ঐক্য বয়ে আনুক ।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ সরকার সবার পাশে রয়েছে -এই বার্তা দেন তিনি।গেদু মিয়ার মসজিদে ঈদের নামাজ পাঠ উপলক্ষে উপস্থিত ছিল রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের ৮ থেকে ৮০- সকল বয়সের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ।অনেককেই জামায় আতর মেখে নামাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। নামাজ পাঠ শেষে উপস্থিত একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে শুভেচ্ছার ভাব বিনিময় করেন ।এই মিলন উপভোগ করতে গেদু মিয়ার মসজিদ প্রাঙ্গনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনগণরাও ।সব মিলিয়ে রমজানের ঐ রোজার শেষে খুশির ঈদ “ঈদ উল ফিতর” বৈচিত্রের মধ্য্যে এক্যের ছবি আকল রাজধানীর গেদু মিয়ার মসজিদ প্রাঙ্গনে।