বসন্তকাল মানেই দেবী দুর্গার বাসন্তী পূজা | চন্দ্র বংশীয় রাজা সুরথদেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন বসন্তকালে | সেই থেকে বসন্তকাল আসলেই মূর্তিপাড়ায় চলে চরম ব্যস্ততা | এবছরও ঘামতি নেই মৃৎশিল্পীদের |দেবী দুর্গার নানা রূপ। প্রাচীনকাল থেকে অশুভ শক্তি নাশের উদ্দেশে বিভিন্ন সময়ে মহাপুরুষগণ শক্তি দেবীর আরাধনা করেছেন। শক্তি দেবী নানা রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। শ্রী রামচন্দ্র অশুভ শক্তি নাশ করতে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন শরৎকালে। চন্দ্রবংশীয় রাজা সুরথ দেবী দুর্গার আরাধনা করেন বসন্তকালে। কালের ভেদে বিভিন্ন পুজোর রীতি-নীতির সামান্য পার্থক্য হলেও, দু্র্গাপুজোর ক্ষেত্রে উভয় পুজোর রীতি একই রয়েছে। শরৎকালে হয় শারদীয়া দুর্গাপুজো, বসন্তকালে দেবী দুর্গার পুজো শ্রী শ্রী বাসন্তীপুজো নামে পরিচিত।এ বছর দেবীর ঘোটকে আগমন, ফল- ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গম। দেবীর দোলায় গমন, ফল– দোলায়াং মকরং ভবেত।আগামী ২৮ মার্চ, বাংলার ১৩ চৈত্র মঙ্গলবার শ্রী শ্রী বাসন্তী পূজা ।মূর্তি পাড়ায় চলছে চরম ব্যস্ততা | জনৈক মৃৎশিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , এবছর মূর্তির চাহিদা প্রায় ডবল | জিনিসপত্রের দাম বেশি হলেও মানুষ কিন্তু পূজা করছেই। হয়তোবা মৃৎশিল্পীদের লাভের অংক টা কিছুটা কম | তবে পুজোর আনন্দে মানুষ ঠিকই মেতে উঠবে | অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পূজোর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে | বেশ কিছু মৃৎশিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে পুজো বিভিন্ন স্থানেই বৃদ্ধি পেয়েছে |। যার ফলে তাদের লাভের অংক কম হলেও তুলনামূলক পুষে যাচ্ছে শিল্পীদের | মূর্তিপাড়ার ব্যস্ততা চলছে তুঙ্গে | বিশেষ করে মৃৎশিল্পীদের রাতের ঘুম উবে গেছে | কেননা মাঝে মাঝে কালবৈশাখী এসে দাপট দেখাচ্ছে |