রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি নাগরিক পরিষেবার সাথে সরাসরি যুক্ত অন্তিমস্তরের কর্মচারিদেরও জনকল্যাণে সরকারের লক্ষ্য ও আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে । সমস্ত স্তরের কর্মচারিদের কর্তব্যবোধ ও দায়িত্ব প্রতিপালনের একাগ্রতাই নাগরিক পরিষেবা সুনিশ্চিতকরণের অন্যতম ক্ষেত্র । আজ আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজে শীর্ষ আধিকারিক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী । বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের কাছ থেকে জিবি হাসপাতালের বিভিন্ন পরিষেবা , সাম্প্রতিক গৃহিত পরিকল্পনা সহ স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন । সফল ওপেন হার্ট সার্জারি , নিউরো , হাঁটু প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি আগামীদিনে বোনমেরো প্রতিস্থাপন , কিডনি সহ লিভার প্রতিস্থাপনের মত অত্যাধুনিক পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিশেষজ্ঞদের নিযুক্তির উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন । ত্রিপুরা থেকে রাজ্যের বাইরে কর্মরত প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসকদের রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিজেদের নিয়োজিত করার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন । সনাক্ত হওয়া কিডনি রোগীদের উপরে গবেষণা চালিয়ে ত্রিপুরায় এই ব্যাধির কারণ নির্ণয়ের জন্য নির্দেশ দেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , জন ঔষধির ( জেনেরিক মেডিসিন ) উপলব্ধতা বাড়ানোর উপযোগী সুযোগ সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন । এছাড়াও সমস্ত ধরণের পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কি করে আরও অগ্রগতি আনা যায় , আরও কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেই বিষয়েও আলোচনা হয় । এদিনের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সচিব পি কে গোয়েল , স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা শুভাশিস দেববর্মা , মেডিক্যাল সুপার সঞ্জীব দেববর্মা , ডিরেক্টর মেডিক্যাল এডুকেশন চিন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ । তার আগে জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলাম মজুমদারের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোজ নেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব । চিকিৎসকদের সাথেও তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি সম্পর্কে কথা বলেন । এদিন বাহারুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ।