Friday, November 22, 2024
বাড়িখবররাজ্যকেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের গোমতী নদীকে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর সাথে যুক্ত করার উদ্যোগ...

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের গোমতী নদীকে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর সাথে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে: পরিবহণ মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় সরকারের মিনিস্ট্রি অব পোর্টস, শিপিং এবং ওয়াটারওয়েজ মন্ত্রক রাজ্যের গোমতী নদীকে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর সাথে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ জলপথ যোগাযোগ নির্মাণ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ২৪ কোটি ৫২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছে। উক্ত প্রকল্পে সোনামুড়া থেকে উদয়পুর পর্যন্ত (৪০ কিমি) গোমতী নদীর খনন, ৯টি ভাসমান জেটি স্থাপন, নদীর পাড়ের ভাঙ্গন রোধের কাজ করা হবে। আজ রাজ্য বিধানসভায় বিধায়ক নির্মল বিশ্বাসের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন। বিধানসভায় পরিবহন মন্ত্রী জানান, ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুরে একটি অস্থায়ী ভাসমান জেটি নির্মাণ করে ল্যান্ড পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে ২০২০ সালের ৭ জুলাই হস্তান্তর করেছে। তিনি জানান, বর্তমানে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ এবং খনন কার্য রাজ্যের জলসম্পদ দপ্তরের দ্বারা সম্পাদিত হচ্ছে। এছাড়া এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য ২০২০ সালের ৫ মে সোনামুড়া দাউদকান্তি নদীপথ আন্তর্জাতিক জলযোগাযোগ প্রোটকল রুট হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। এই প্রোটকল রুটকে নেশন্যাল ওয়াটারওয়ে-১ (গঙ্গা নদী), নেশন্যাল ওয়াটারওয়ে-২ (ব্রহ্মপুত্র নদী), নেশন্যাল ওয়াটারওয়ে- ১৬ (বরাক নদী) এবং মায়ানমারের কালাদান নদীর সাথে যুক্ত করা হবে। ফলে ভারতের মূল ভূখন্ডের অন্যান্য রাজ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ত্রিপুরা জলপথে সংযোগ স্থাপন হবে। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, সোনামুড়া-দাউদকান্দি প্রোটকল রুট উদয়পুর পর্যন্ত (৪০ কিমি) সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবটি জলপথ পরিবহণ দপ্তরের বিবেচনাধীন রয়েছে। ভবিষ্যতে এই জলপথ ভারতের সোনামুড়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের চিটাগাং বন্দর হয়ে কলকাতার হলদিয়া বন্দর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করবে। পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, গোমতী নদীর খনন কার্য, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং নদীর পাড় বাধাই বাবদ রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর থেকে পূর্ত দপ্তর (জনসম্পদ বিভাগ) কে ২ কোটি ৯০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই প্রদান করেছে। বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মার অন্য এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, সাগরমালা প্রজেক্টের অন্তর্গত ভাসমান জেটি নির্মাণ এবং অভ্যন্তরীণ জলযোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য মুহুরী, খোয়াই এবং মনু নদীতে সার্ভে করা হয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বন্দর, নেট পরিবহণ ও নৌ পথ মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ জন পরিবহণে নির্দেশিকার অধীন ছোট মাপের জাহাজ কেনার বিষয়টি অন্তর্গত করেছে। এই উপাদানের সর্বোচ্চ ব্যয় সীমা ৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর কর্তৃক ডম্বুর জলাশয়ে ৮টি প্রমোদতরীর জন্য মোট ৪৯.০৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × two =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য