মহারাজগঞ্জ বাজারে ভেজাল কারবার। হাতেনাতে ধরলেন যৌথ অভিযানকারী দল। দামী ব্র্যান্ডেড পণ্যের সাথে মেশানো হচ্ছে ভেজাল এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠালো যৌথ দল। রাজ্যের প্রধান এবং বৃহত্তম বাজারটি হলো রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজার। সারা রাজ্য থেকে খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসেন এই মহারাজগঞ্জ বাজারে। বিশেষ করে পাইকারি পণ্যের জন্য বিখ্যাত মহারাজগঞ্জ বাজার। এই বাজারের প্রতি রাজ্যবাসির বিশ্বাসও নেহাৎ কম নয়। কিন্তু একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সেই বিশ্বাসের জায়গায় বড়সড় আঘাত আসতে শুরু করেছে। বুধবার মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযানে গিয়ে যৌথ বাহিনীর নজরে এলো এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আসল সামগ্রীর সাথে মেশানো হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং ভেজাল সামগ্রী। তাও একেবারে নতুন প্যাকেটের সেলাই খুলে প্যাকেটের আসল পণ্যের সাথে মেশানো হচ্ছে ভেজাল পণ্য। বুধবার, লিগ্যাল মেট্রোলজিকাল দপ্তর, খাদ্য দপ্তর এবং সদর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়েছিল মহারাজগঞ্জ বাজারে। অভিযানকারী দল দেখতে পায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সামগ্রীর সাথে অন্যান্য ব্র্যান্ডের সামগ্রী মিশিয়ে সেগুলি পুনরায় প্যাকেট করছে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী। কখনো এক কোম্পানির চালের সাথে অন্য কোম্পানির চাল। আবার কখনো এক কোম্পানি ডালের সাথে ডালের সাথে অন্য কোম্পানির ডাল মেশানো হচ্ছে। পাশাপাশি মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং ভেজাল সামগ্রী মিশিয়ে সেগুলি নতুন করে প্যাকেটিং করছে ওই অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই ধরনের দৃশ্যে হতবাক অভিযান কারী দল। লিগ্যাল মেট্রোলজিক্যাল দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন কোন ধরনের লাইসেন্স ছাড়া এভাবে প্যাকেটিং করা যায় না। আসল পণ্যের প্যাকেটে যে পণ্য রয়েছে সেই পণ্যের প্যাকেট খুলে রি প্যাকেট করতে হলে লাইসেন্সের প্রয়োজন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ের কাছে এমন কোন লাইসেন্স নেই। তাছাড়া এই রি-প্যাকেটিং এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভেজাল করা হচ্ছে কিনা সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানালেন তিনি। ফলে মহারাজ গঞ্জ বাজার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া দামি সামগ্রির প্যাকেটে আসল পণ্য রয়েছে কিনা তা নিয়ে বড়সড়ো প্রশ্ন তুলে দিলেন এই ব্যবসায়ী।