ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির পরিচালনাধীন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল , মহকুমা হাসপাতাল , সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতাধীন ইনটিগ্রেটেড কাউন্সিলিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টার ( আই সি টি সি ) এবং সেক্সুয়াল ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশান ( এস টি আই ) ক্লিনিকে এইচআইভি ও সিফিলিস শনাক্তকরণে নিয়মিত বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে । তাছাড়া রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োজিত আই সি টি সি এবং এস টি আই কাউন্সিলার গণ এইচআইভি এইডস ও সেক্সুয়াল ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশান সংক্রান্ত নানা পরামর্শ প্রদান করছেন । গত ২ মার্চ আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড জিবিপি হাসপাতালের ইনটিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এন্ড টেস্টিং সেন্টার ( আই সি টি সি ) -এ মোট ১০২ জনের এইচআইভি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে রক্ত পরীক্ষা করা হয় । তাতে একজনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া যায় । এদিন আইজিএম হাসপাতালের ইনটিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এন্ড টেস্টিং সেন্টার ( আইসিটিসি ) -এ মোট ৩৬ জনের এইচআইভি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে রক্ত পরীক্ষা করা হয় । তবে উক্ত পরীক্ষায় কারোর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া যায়নি । তাছাড়া সেক্সুয়াল ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশান ( এসটিআই ) ক্লিনিকে মোট ১৯ জনের রক্তে সিফিলিস পরীক্ষা করা হয় । এদিন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ইনটিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এন্ড টেস্টিং সেন্টার ( আইসিটিসি ) -এ মোট ১৪ জনের এইচআইভি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে রক্ত পরীক্ষা করা হয় এবং সেক্সুয়াল ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশান ( এসটিআই ) ক্লিনিকে মোট ১৪ জনের রক্তে সিফিলিস পরীক্ষা করা হয় । যদিও কারোর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া যায়নি । এছাড়াও এদিন বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের ইনটিগ্রেটেড কাউন্সিলিং এন্ড টেস্টিং সেন্টারে ( আইসিটিসি ) মোট ১০ জনের এইচআইভি শনাক্তকরণের লক্ষ্যে রক্ত পরীক্ষা করা হয় ও সেক্সুয়াল ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশান ( এসটিআই ) ক্লিনিকে মোট তিন জনের রক্তে সিফিলিস পরীক্ষা করা হয় । কারোর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস পাওয়া যায়নি । অনুরূপ ভাবে গোমতী জেলা হাসপাতালের সেক্সুয়াল ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশান ( এসটিআই ) ক্লিনিকে মোট চার জনের রক্তে সিফিলিস পরীক্ষা করা হয় , সবার রিপোর্টই নেগেটিভ ছিল । পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তর থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে ।