আধার পিয়াসী কুচক্রিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে রসদ যোগায় প্রভু যীশুর বাণী। মরিয়ম নগরের প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে প্রকারান্তরে আধার পিয়াসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। বড়দিন উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে হার্দিক শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বড়দিন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন গোটা বিশ্বেই মহাসমারহে এই দিনটি পালিত হচ্ছে। রাজ্যেও এর ব্যতিক্রম নয়, ইতিমধ্যেই বড়দিনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের গির্জাগুলি আলো ও রামধনু রঙের সেজে উঠেছে। বড়দিন উপলক্ষে রবিবার রাজধানী সংলগ্ন মরিয়ম নগরে হয় প্রধান অনুষ্ঠান চার শতাব্দী আগে গড়া এই ক্যাথলিক গির্জায় সমবেত প্রার্থনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা। এদিন মরিয়ম নগরে গিয়ে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান গির্জার প্রধান ফাদার জোসেফ উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক রতন চক্রবর্তীর সহ অন্যান্যরা। গির্জায় বড় দিন উপলক্ষে আয়োজিত সমবেত প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়ে কেক কেটে সবার মধ্যে বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রভু যীশুর শান্তির বাণী আজও প্রাসঙ্গিক শান্তি ছাড়া উন্নয়ন হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান মানুষ শান্তি প্রেমী শান্তির পথে এগিয়ে যেতে চায় কিন্তু কিছু কু-চক্রীরা আঁধার পছন্দ করে, এরা শান্তি ও সম্প্রীতির পরিমণ্ডলকে অন্ধকারে রূপায়িত করতে সচেষ্ট। আলো বনাম অন্ধকার আর শান্তি বনাম অশান্তির এই অসম লড়াইয়ে প্রভু যীশুর প্রদর্শিত শান্তির পথ আজও প্রাসঙ্গিক বলে জানান তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে একান্তে কথা বলেন মরিয়ম নগর ক্যাথলিক চার্চ এর প্রধান ফাদার জোসেফ, এলাকার কিছু সমস্যার কথা তিনি মুখ্যমন্ত্রী কাছে তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। মরিয়ম নগর ক্যাথলিক চার্চ এর সমবেত প্রার্থনা সভার শেষে স্কুল মাঠে আয়োজিত মেলা পরিদর্শন করেন তিনি। বড়দিন উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যা রাতে প্রচুর উৎসব প্রিয় মানুষের জমায়েত হয়েছিল গির্জায় রবিবারও দুপুর থেকে শুরু হয়েছে জনধল। আশা করা হচ্ছে, বড়দিনের সন্ধ্যায় জনারন্যের রূপ নেবে রাজধানী লাগোয়া মরিয়ম নগর।