আগরতলা রেলস্টেশন বাইপাস ওএনজিসি কাঞ্চনপল্লী এলাকায় কৃষাণ দাসের বাড়ি, পেশায় দিনমজুর। কিষান দাসের বাড়িতে তার সাথে বড় ভাই ,বড় ভাইয়ের স্ত্রী, নিজের স্ত্রী পূর্ণিমা দাস ও তাদের দুই শিশু পুত্র থাকে। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও ছোট্ট শিশু শানু দাসের কান্নায় ঘুম ভাঙ্গে কিষান ও পূর্ণিমার, পূর্ণিমা দাস শিশু পুত্রটিকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রান্না ঘরে চা করে স্বামী ও স্ত্রী চা পান করেন। তখন ওর দুই শিশু পুত্র ঘুমন্ত ছিল, চা পান করে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে কিষান। স্বামী চলে যাওয়ার পর ঘরে দুই দরজা আলতোভাবে বন্ধ করে বাসনপত্র ধুতে ঘর থেকে বের হন পূর্ণিমা দাস। কাজ সেরে ঘরে ফেরে তিনি লক্ষ্য করেন তার বড় শিশু পুত্র ঘুমিয়ে থাকলেও এক মাস ১৩ দিনের শিশু পুত্র সানুদাস বিছানায় নেই, মশারি এলোমেলো ভাবে পড়ে রয়েছে, শিশু পুত্রকে না পেয়ে চিৎকার শুরু করে দেন তিনি। চিৎকার শুনে পাশের ঘরে ভাসুর ও জালসহ স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ স্থানীয়রা এবং পুলিশ আশেপাশে নিখোঁজ শিশু পুত্র উদ্ধারে তল্লাশি চালায়। এদিন সাংবাদিকদের পূর্ণিমা দাস জানান খাটের মশারির ভেতরে তার দুই শিশু পুত্র ঘুমাচ্ছিল বাসনপত্র ধুয়ে ঘরে ফিরে এসে দেখেন তাদের ছোট্ট শিশু পুত্র বিছানায় নেই, এই ছোট্ট সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ঘরে কেউ প্রবেশ করতে পারে বলে বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। এদিকে পুলিশ একই বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘরে থাকা কৃষাণ দাসের বড় ভাই ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আশেপাশের বাড়ি ঘরে ও জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে শিশু পুত্র নিখোঁজের ঘটনায় কোন ক্লু খুঁজে পাইনি পুলিশ। স্থানীয় একাংশদের ধারণা সংশ্লিষ্ট এলাকার বানরের উৎপাত রয়েছে শিশু পুত্র নিখোঁজের ঘটনায় বানরের হাত থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট সব বিষয়গুলি খতিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, ঘর থেকে শিশুপুত্র নিখোঁজের ঘটনা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।