পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান হচ্ছে আমাদের দেশের সংবিধান। দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী, জাতি-ধর্মের মানুষের কথা মাথায় রেখেই ড. বি আর আম্বেদকর এই সংবিধান রচনা করেছিলেন। সংবিধানের প্রতিটি কথা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। আজ ত্রিপুরা বিধানসভা প্রাঙ্গণে সংবিধান প্রণেতা ভারতরত্ন ড. বি আর আম্বেদকরের মর্মর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ ড. বি আর আম্বেদকরের ৬৮তম তিরোধান দিবস। ড. বি আর আম্বেদকরের জীবন দর্শন ও সংগ্রামের কথা স্মরণ করেই বিধানসভা প্রাঙ্গণে তাঁর মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ড. বি আর আম্বেদকরের জীবনই হচ্ছে একটা প্রতিষ্ঠান যা নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। দেশের পিছিয়েপড়া জনগণের জন্য তিনি যেভাবে কাজ করে গেছেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। সমাজের পিছিয়েপড়া জনগণের জন্য তিনি যে কাজ করেছিলেন তা একটা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। এই সামাজিক আন্দোলন আগে হলেও ২০১৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সেই আন্দোলন আরও গতি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. বি আর আম্বেদকরের জীবন দর্শনকে পাথেয় করে পিছিয়েপড়া জনগণের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছেন। রাজ্য সরকারের তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরও রাজ্যের পিছিয়েপড়া জনগণের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণ করছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। অনুষ্ঠানে তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, বিশ্বে এমন কিছু মহামানব জন্মেছেন যাঁরা তাঁদের কর্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। এরমধ্যে ভারতরত্ন ড. বি আর আম্বেদকর একজন। ড. বি আর আম্বেদকর তাঁর কর্মের মাধ্যমেই দেশকে দিশা দেখিয়েছিলেন। ড. বি আর আম্বেদকরের চিন্তা-ভাবনা-চেতনাকে পাথেয় করেই রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার। অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার বিভিন্ন মনিষী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মর্মর মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বিধানসভা প্রাঙ্গণে ড. বি আর আম্বেদকরের মূর্তি স্থাপন অবশ্যই একটি প্রাসঙ্গিক উদ্যোগ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা ও অধিকর্তা অসীম সাহা।