রাজ্যে গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে । আগামী প্রজন্মকে গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতেই সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে । সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যে শিক্ষার মান বাড়ছে । রাজ্যের সামগ্রিক বিকাশ ত্বরান্বিত করতে গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম ঊনকোটি জেলাভিত্তিক বইমেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন শ্রমমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস । কুমারঘাটের পূর্ত ময়দানে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্প্রতি প্রয়াত সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর , বিরজু মহারাজ , সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় , বাপ্পি লাহেড়ির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় । প্রথম ঊনকোটি জেলাভিত্তিক বইমেলার উদ্বোধন করে শ্রমমন্ত্রী আরও বলেন , রাজ্যে উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে । এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে । তিনি বলেন , বই আমাদের জীবনের অন্যতম অবলম্বন । বইয়ের বিকল্প কিছুই হতে পারে না । বইমেলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ও শিশুদেরকে বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় । অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিভূতি পালিত বলেন , বইমেলা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মেলা । এই মেলার সাথে অন্য কোনও মেলার তুলনা হয় না । বইমেলা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করে ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুধাংশু দাস বলেন , জ্ঞানের আদান প্রদান বইমেলার মাধ্যমেই সম্ভব হয় । বই আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় , ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা এবং অল ত্রিপুরা বুক সেলার্স ও পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী । স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক কুমারঘাট পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন বিশ্বজিৎ দাস । উপস্থিত ছিলেন কুমারঘাট পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হ্যাপি দাস , কুমারঘাট মহকুমার মহকুমা শাসক সুব্রত ভট্টাচার্য , এসডিপিও গমনজয় রিয়াং প্রমুখ । পাঁচদিনব্যাপী ঊনকোটি জেলাভিত্তিক বইমেলা চলবে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত । মেলায় মোট ২৩ টি বুক স্টল খোলা হয়েছে । মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবি সম্মেলন ।