নাটক হচ্ছে একটা শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম। সমাজকে সঠিক দিশা দেখানোর ক্ষেত্রে নাটক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। আজ বিকেলে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং প্রেক্ষাগৃহে ১১ দিনব্যাপী রাজ্যভিত্তিক নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনের দর্পন হচ্ছে নাটক। নাটকের মধ্যে সমাজের প্রতিবিম্ব ফুটে উঠে। মানুষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে নাটক একটা বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। তিনি বলেন, রাজ্যের নাট্যচর্চার ইতিহাস অনেক পুরনো। রাজ্যে নাট্যশিল্প যাতে আরও সমৃদ্ধ হয় সেজন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এগার দিনের এই নাট্য উৎসব থেকে উন্নতমানের অভিনেতা, অভিনেত্রীরা বেরিয়ে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।সভাপতির ভাষণে রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, জীবন যেমন বৈচিত্রে ভরপুর তেমনি নাটকেও অনেক বৈচিত্র রয়েছে। নাটক হচ্ছে এমন একটা শিল্প যেখানে সংস্কৃতির প্রত্যেকটা দিক প্রয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মকে নাট্যচর্চার সাথে যুক্ত করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত দলগুলির এই বিষয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তথা ত্রিপুরেশ মজুমদার স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত শিল্পী ননী দেব।স্বাগত ভাষণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন, ১১ দিনের উৎসবে ২ ১টি নাটক মঞ্চস্থ হবে। প্রতি সন্ধ্যায় দুটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। তিন শতাধিক শিল্পী এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। রাজ্যের বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী মানিক দত্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং অনুষ্ঠানের অতিথিদের হাতে উৎসবের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। উদ্বোধনী পর্বের পর পার্থ মজুমদার পরিচালিত সুরপঞ্চম নাট্যগোষ্ঠীর ‘প্রি পেইড’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।