Sunday, December 22, 2024
বাড়িখবররাজ্যশারদীয়া উৎসবের রেশ কেটে না উঠতেই সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রতিটি পরিবারে চলছে...

শারদীয়া উৎসবের রেশ কেটে না উঠতেই সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রতিটি পরিবারে চলছে এখন ধনদেবী লক্ষ্মীর আরাধনার আয়োজন

শারদীয়া দুর্গা উৎসবের রেশ এখনো কেটে উঠেনি। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেল বাঙালির বারো মাসের ১৩ পার্বণের অন্যতম আরো একটি পার্বণ লক্ষী পূজার আয়োজনের তৎপরতা। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী।কোজাগরি পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। তাই এটি কোজাগরি লক্ষী পূজা নামে খ্যাত। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাঙ্গালী প্রতিটি পরিবারেই পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি কামনার্থে পূজিত হয়ে থাকেন দেবী লক্ষী। এবছর তিথি অনুযায়ী লক্ষ্মী পূর্ণিমা শনিবার। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী এদিন সকাল ৪ঃ১৭ মিনিটে শুরু হবে পূর্ণিমা এবং পরের দিন রবিবার রাত 1:56 মিনিট পর্যন্ত চলবে। এদিন আবার চন্দ্রদ্বয় ঘটবে বিকেল পাঁচটা কুড়ি মিনিটে। তবে লক্ষ্মীপুজোর শুভ সময় শনিবার রাত ৮:৫২ থেকে ১০টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত। তাই এই শুভসময়েই এদিন প্রতিটি ঘরে ঘরে পূজিত হবেন দেবী লক্ষী। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাতে পূর্ণিমা তিথিতে ধন-সম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষী বিষ্ণুলোক হতে পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে কে জেগে আছো প্রশ্ন করেন। তাই লক্ষী পূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরি পূজাও। দুর্গার পূজা শেষ হতে না হতেই এখন রাজ্যজুড়ে লক্ষীর আরাধনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রত্যেকের ঘরে দেবী লক্ষ্মী পূজিত হন বলে প্রতিটি বাজার ছেয়ে গেছে পূজার উপকরণে। এই পূজাতে প্রয়োজন হয় ধানের শীষ, কলা গাছের খোল, আলপনা সহ আরো নানা সামগ্রী। সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে লক্ষী দেবীর প্রতিমা। তাই মৃৎশিল্পী থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই পূজোর বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে হাজির এখন বাজারে। ছাঁচের প্রতিমা থেকে শুরু করে কাঠামো নানা আকারের প্রতিমা রয়েছে বাজার গুলিতে। সেই সঙ্গে রয়েছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা গ্রাম বাংলার সরার উপর হাতে আঁকা লক্ষ্মীর ছবি। একইভাবে অতীতে বাড়িতে তৈরি নারকেলের সন্দেশ, চিড়া, মুড়ি, তিলের নাড়ু আজ বাজার অর্থনীতির কল্যাণে প্যাকেটজাত। এসব রেডিমেড সামগ্রী বিক্রিও হচ্ছে দেদার। তবে সব কিছুরই দাম যেন অনেকটা অস্বাভাবিক। প্রতিমা থেকে শুরু করে ফলমূল সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করতে গিয়ে গরিব ও মধ্যবিত্ত অংশের মানুষের যেন হাতে ছ্যাকা লাগছে। তারপরেও পকেটের কড়ির কথা চিন্তা না করে সবাই মেতেছেন লক্ষী পূজার বাজারে। আয় যাই হোক, তিনি যে ধনের দেবী। লক্ষ্মী দেবীকে রুষ্ট করতে চায়না ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। তাই সব চিন্তা ঝরে ফেলে ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজারে ছুটছেন গৃহকর্তারা, ফর্দ মিলিয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত পূজার সামগ্রী। সব মিলিয়ে আগরতলা সহ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি বাজার দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার আয়োজনে জমজমাট হয়ে উঠেছে এখন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × five =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য