আমরা মানুষের সাথে থাকতে চাই। পুজোয় আমরা সবাই আনন্দ করব, উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে তা উপভোগ করব, এর পাশাপাশি বস্ত্রদানের যে ব্যবস্থা এদিন করা হয়েছে তা কিছু না হলেও একটা মানবিক স্পর্শ। এই বস্ত্রদানের কর্মসূচি, যাদের প্রয়োজন তাদেরকে পুজোয় একটা উপঢৌকন হিসেবে বলা যেতে পারে। সরকার এবং দল সবার মুখে হাসি ফোঁটাতে চায়। ত্রিপুরায় সব জায়গায় একটা শান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিগত দিনে তা দেখতে পাওয়া যায় নি। রাজ্য সরকার চায় এই শান্তির বাতাবরণ সুন্দর থেকে সুন্দরতর করার। আর রাজ্য সরকার এবং দলের তরফ থেকে তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ৮নং টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়কের পক্ষ থেকে বস্ত্রদান কর্মসূচিতে যোগদান করে একথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ উপস্থিত জনতার সামনে তুলে ধরেন। আর এ গুলি তুলে ধরে তিনি এদিন বলেন রাজ্যের সব দিকে এখন উন্নয়ন আর উন্নয়ন। তা মুলত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য, যা প্রধানমন্ত্রী রাজ্যকে দিয়েছে। উন্নয়নের আরেকটি দিক হল শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখা। রাজ্যের জাতি জনজাতি সবাই একসাথে এখন কাঁধে কাঁধ রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগে বিভাজনের নীতি নিয়ে পূর্বে যারা রাজ্য চালিয়েছেন তাদের প্রচেষ্টা ছিল। সমস্যা সৃষ্টি করে থাকার প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। তার মধ্যে সে সব দল এবং তৎকালীন সরকার থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এদিন দুঃস্থ লোকদের হাতে বস্ত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিরা। এই কর্মসূচিতে এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, দলের সদর শহর জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর রত্না দত্ত প্রমুখ।