উৎসবের প্রাকমুহুর্তে রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাজার গুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে। কোন ধরনের কারণ ছাড়াই একাংশ কালোবাজারি বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে পকেট কেটে চলেছে সাধারণ ক্রেতাদের। আর এতে করে না বিশ্বাস হচ্ছে সাধারণ মানুষের। যদিও এই কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে অব্যাহত রয়েছে প্রশাসনিক অভিযান। বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন বাজারে অভিযান সংঘটিত করে চলেছে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। বিশেষ করে পূজার প্রাক মুহূর্তে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের এই অভিযান। তা আরো একবার লক্ষ্য করা গেল শুক্রবার দুপুরে রাজধানী আগরতলার মহারাজগঞ্জে বাজারে। এদিন সদর মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা অভিযান চালায় মহারাজগঞ্জ বাজারের চাল এবং আলু পেঁয়াজের বাজারে। অভিযানকালে বিভিন্ন দোকানে জিনিসপত্রের দাম খতিয়ে দেখে অধিকারীরা। এরমধ্যে একজন চাল ব্যবসায়ীর দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুদ থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখাতে না পারায় দোকান সিল করে দেওয়া হয়। এখানেই শুধু শেষ নয় আলু পেঁয়াজ বাজারের এক দোকানি দাম বেশি রাখার দায়ে ওজন মাপার যন্ত্র সীজ করে দেয় আধিকারিকরা। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন আধিকারিকরা। একই সাথে তারা আরো জানান কালোবাজারিদের প্রতিরোধ করে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ ধরনের অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। আসন্ন শারদীয়া উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তৎপর রাজ্য আরক্ষা প্রশাসন। মাঝে হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। এরপরই রাজ্যের সব অংশের মানুষ কয়েকটি দিন উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবে। প্রত্যেকেই যেন এখন প্রতীক্ষায় রয়েছেন শারদীয়া উৎসবে নিজেদের শামিল করার। রাজ্যের সর্ববৃহৎ এই উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন উৎসব প্রেমী সাধারণ মানুষের মনে বাড়ছে উন্মাদনার পারদ। তাই বিগত দিনের মতো এবারও শারদীয়া উৎসব অবাধ ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে রাজ্য প্রশাসন। বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধ করে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে তৎপর যেন রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে আরক্ষা প্রশাসনের কর্মীরা। উদ্দেশ্য একটাই পূজোর দিনগুলিতে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখা। মানুষ যাদের নির্ভয়ে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে তৎপর প্রশাসন। তা আরো একবার প্রত্যক্ষ করা গেল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী আগরতলা শহরের বুকে। এদিন পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর কিরণ কুমার কে এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত করে বিশেষ অভিযান। এই অভিযানে জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও ছিলেন সদরের এসডিপিও সহ পশ্চিম থানা পশ্চিম থানার পুলিশ আধিকারিকরা। নৈশকালীন এই অভিযানে এদিন পুলিশ প্রচুর সংখ্যক নেশা সেবনকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। একই সাথে চলে বিভিন্ন যানবাহনে জোরদার তল্লাশি। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসবে ততই এই ধরনের অভিযানের ধারাবাহিকতা বাড়ানো হবে বলে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার। মূলত অশান্ত সৃষ্টিকারীদের কিংবা দুষ্কৃতিকারীদের কড়া বার্তা দিতেই এদিনের এই নৈশকালীন বিশেষ অভিযান কর্মসূচি বলে মনে করছেন শহরের সচেতন নাগরিকরা।